'পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর আগে আনুন'! 'করাচি' বিতর্কে শিবসেনার পাল্টা তোপ বিজেপিকে
গোটা ঘটনার সূত্রপাত মুম্বইয়ের 'করাচি সুইটস ' থেকে । মুম্বইয়ের এই দোকানের নাম থেকে 'করাচি' শব্দটি বাদ দেওয়ার জন্য দোকানের মালিকের ওপর শিবসেনার এক নেতা চাপ তৈরি করতে থাকেন। যা রাতারাতি জাতীয় সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে আসে। এবার 'করাচি' বিতর্কে ভারতে কট্টরপন্থী দুই গেরুয়া রাজনৈতিক শিবিরের দ্বন্দ্ব চরমে।

পাকিস্তানের শহর ও শিবসেনা-বিজেপি দ্বন্দ্ব
মূলত, পাকিস্তানের শহর করাচির নাম ভারতের কোনও দোকানে কেন থাকবে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে দক্ষিণপন্থী বহু সংগঠন। এ মুম্বইয়ের আগে হায়দরাবাদে এ বেঙ্গালুরুতেও দক্ষিণপন্থীরা এমন প্রশ্ন তোলেন। এবার মুম্বইতে শিবসেনা নেতা বিষয়টি নিয়ে সরব হতেই , পাল্টা বিতর্ক উস্কে দেয় বিজেপিও। সেই প্রসঙ্গ ধরে দুই দলের নেতাদের তোপ পাল্টা তোপ শুরু হয়।

বিজেপির তোপ শিবসেনার দিকে
বিজেপির তরফে দেবেন্দ্র ফড়নবীশ বলেন, তিনি অখণ্ড ভারতের সংজ্ঞায় বিশ্বাসী। ফলে করাচি, একদিন ভারতের অংশ হয়ে যাবে বলে দাবি করেন দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। যার পর পালটা তোপ দাগেন শিবসেনার সঞ্জয় রাউত।

'আগে পিওকে আনুন.. '
দেবেন্দ্র ফড়নবীশের বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে শিবসেনার সঞ্জয় রাউত বলেন, 'আগে সেই কাশ্মীর নিয়ে আসুন, যেটা পাকিস্তান অধিকৃত করে রেখেছে। আমরা করাচি পরে যাব।'

করাচি নাম বদল বিতর্ক ও শিবসেনার দাবি
'করাচি সুইট শপ' দোকানের নাম বদলে তার নাম মারাঠি কোনও শব্দ দিয়ে রাখার জন্য দোকানের মালিককে বার্তা দেন শিবসেনা নেতা নীতীন নন্দগোয়াকার। তবে এই দাবি কেবলই শিবসেনার ওই নেতার একান্ত দাবি, এর সঙ্গে দলের যোগ নেই বলে জানান সঞ্জয় রাউত। প্রসঙ্গত মুম্বইতে গত ৬০ বছর ধরে 'করাচি বেকারি ' 'করাচি সুইটস' রয়েছে।
মাননীয়া পদ্মকে অনুসরণ করছেন! নতুন সরকারি প্রকল্প নিয়ে মমতাকে নিশানা বিজেপির