শুভেন্দু তৃণমূলেই থাকছেন! তাই কি তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন দাদার অনুগামীরা
শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জল্পনা এখনও থামেনি। তবে তৃণমূলের দুই সাংসদের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এখন অনেক নমনীয়। কিন্তু তাঁর অনুগামীরা কী করবেন? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে পড়েছে। তৃণমূলের একাংশ শুভেন্দু অনুগামীদের কিছু অবস্থান ভালো চোখে দেখছে না। ফলে তাঁরা দলবদল করতে পারে, এমন আবহ তৈরি হয়েছে।

তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব রেখে সমান্তরাল জনসংযোগ
শুভেন্দু অধিকারী দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব রেখে সমান্তরাল জনসংযোগ চালাচ্ছিলেন। তার ফলে দলহীন থেকে তিনি মালদহ ও মুর্শিদাবাদে গিয়ে নিজের মতো করে সভা করছেন, কর্মসূচি পালন করছেন। আর এইসব কর্মসূচিতে যাঁরা উপস্থিত ছিলেন, তাঁরা এখন পড়েছেন ঘোর সমস্যায়।

শুভেন্দু স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তিনি তৃণমূলেই
শুভেন্দু অধিকারীর সভায় দেখা গিয়েছিলে দুই জেলা পরিষদের সভাপধিপতিকে। স্বাভাবিকভাবে কথা উঠেছিল, শুভেন্দু যদি দলত্যাগ করেন, তাহলে তার সঙ্গে বিভিন্ন জেলার জনপ্রতিনিধিরাও থাকবেন। কিন্তু রামনগরের সভা থেকে শুভেন্দু স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি তৃণমূলেই আছেন। অন্যদিকে তাঁর মানভঞ্জনে তৃণমূলও উৎসাহী।

দোদুল্যমানতায় নেই শুভেন্দু-অনুগামীরা
শুভেন্দু অধিকারী খানিক নমনীয় হওয়ার পর তাঁর অনুগামীদের মধ্যে দুই জেলার সভাধিপতি সাফ জানিয়ে্ দিয়েছেন, তাঁরা তৃণমূলেই থাকছেন। সমস্ত জল্পনায় জল ঢেলে তাঁরা নিশ্চিত করে দিয়েছেন কোনও দোদুল্যমানতায় তাঁরা নেই। শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলে থাকুন বা না থাকুন তাঁরা তৃণমূলেই থাকছেন।

শুভেন্দু তৃণমূলেই, নিশ্চিত বার্তা পেয়ে গিয়েছেন
এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক মহল মনে করছে, শুভেন্দু অনুগামীদের এই ধরনের সিদ্ধা ন্ত দুটি কারণে হতে পারে। এক, শুভেন্দু তৃণমূলেই থাকছেন তাঁরা নিশ্চিত বার্তা পেয়ে গিয়েছেন। আর দুই, তাঁরা অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরির আগে নিজের ক্ষেত্র তৈরি করে রাখতে চাইছেন। শুভেন্দু আগে কোনও সিদ্ধান্ত নিক, তারপপর তাঁরা মন পরিবর্তন করতে পারেন।