ভোটের আগে তৎপর ইডি! নারদা কাণ্ডে নোটিশ মন্ত্রীসহ তৃণমূলের তিন 'প্রভাবশালী'কে
নারদা কাণ্ডে মুকুল রায়কে নোটিশ পাঠানোর পর এবার তৃণমূলের তিন নেতার কাছে পৌঁছে গেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির নোটিশ। সূত্রের খবর অনুযায়ী, তৃণমূলের তিন নেতা হলেন, পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, হাওড়ার সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র। সূত্রের আরও খবর কেউই ইডির নোটিশের কথা স্বীকার করেননি।

২০১৬-র ভোটের আগে নারদার স্টিং প্রকাশ
২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির অফিস থেকে নারদা ডট কমের স্টিং অপারেশনের ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছিল বিজেপির অফিস থেকে। তাতে তৃণমূলের প্রায় একডজন নেতাকে দেখা গিয়েছিল। দেখা গিয়েছিল বর্তমানে বিজেপিতে থাকা মুকুল রায় এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। দেখা গিয়েছিল তৎকালীন আইপিএস এসএমএইচ মির্জাকেও। ( এই ভিডিও-র সত্যতা পরীক্ষা করে দেখেনি বেঙ্গলি ওয়ান ইন্ডিয়া) । যা রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন ফেললেও নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সেই বছরে তা সেরকম কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি।

তদন্ত চালায় সিবিআই, ইডি
পরবর্তী সময়ে নারদা নিয়ে তদন্ত চালায় দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই ও ইডি। দফায় দফায় জেরা করা হয় নারদ স্টিং অপারেশনে দেখতে পাওয়া নেতা ও আধিকারিকদের। এরপর গতবছরে পুজোর আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল এসএমএইচ মির্জাকে। এমন কি জিজ্ঞাসাবাদে ডাকা হয়েছিল যিনি এই অপারেশন চালিয়েছিলেন, সেই ম্যাথু স্যামুয়েলকেও।

ভয়েস স্যাম্পেল পরীক্ষা করেছে সিবিআই
ইতিমধ্যেই নারদ স্টিং অপারেশনের ছবিতে যাঁদের দেখা গিয়েছে, তাঁদের প্রায় সবাই তাদের ভয়েস স্যাম্পেল জমা দিয়েছেন ইচির কাছে। সেই তালিকায় মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় থেকে শুরু করে সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদাররাও রয়েছেন।

জুলাই মাসে নোটিশ পেয়েছিলেন মুকুল রায়
জুলাই মাসে যাঁদের কাছে ইডির তরফে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল তাঁদের মধ্যে ছিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়ও। মুকুল রায়ের কাছে অ্যাকাউন্ট ও সম্পত্তি সংক্রান্ত বেশ কিছু নথি চাওয়া হয়েছিল। যার বেশ কিছু জমা দিয়েছিলেন মুকুল রায়। বেশ কিছু বাকি ছিল। তার জন্য নভেম্বরে ফের নোটিশ পাঠিয়েছিল ইডি।
জুলাই মাসে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল, সাংসগ অপরূপা পোদ্দার, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সৌগত রায় এবং রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে। নারদ কাণ্ডে অভিযুক্ত সুলতান আহমেদ ইতিমধ্যেই প্রয়াত হয়েছেন।

তদন্তে খুশি ম্যাথু স্যামুয়েল
অক্টোবরে কলকাতায় এসে সিবিআই দফতের গিয়েছিলেন ম্যাথু স্যামুয়েল। সেখানে তিনি তদন্তের অগ্রগতি সন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন বলে সূত্রের খবর। পাশাপাশি মুকুল রায় কোনও টাকা নেননি বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় বেআইনি অর্থলগ্নী সংস্থা অ্যালকেমিস্টের টাকা নিয়ে ম্যাথু স্যামুয়েল স্টিং অপারেশন চালিয়েছিলেন।
'পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর আগে আনুন'! 'করাচি' বিতর্কে শিবসেনার পাল্টা তোপ বিজেপিকে