নানা ইস্যুতে বাম, কংগ্রেসের জোটে জট! এবার নামছেন রাহুল গান্ধী
প্রার্থী দেওয়া থেকে শুরু করে জোটের মুখ। সূত্রের খবর অনুযায়ী ইতিমধ্যে নানা বিষয় নিয়ে রাজ্যে বাম-কংগ্রেস ( left-congress) জোটে জট তৈরি হয়েছে। যা নিয়ে চিন্তিত দুপক্ষই। সূত্রের আরও খবর সীতারাম ইয়েচুরি বিষয়টি তুলেছে রাহুল গান্ধীর (rahul gandhi) কানে। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি জানিয়েছেন, তিনি রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন।

২৭ নভেম্বর ভার্চুয়াল বৈঠক
জোট তো হবে। কিন্তু সব দলেরই তো লাভ ক্ষতির হিসেব থাকে। বামেদের কাছে সেই হিসেব একরকমের। অন্যদিকে কংগ্রেসের কাছে সেই হিসেব আলাদা। যা নিয়েই বেধে গোল। পুজোর সময় থেকে বাম এবং কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে তিনদফা আলোচনা হলেও, আসন রফা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি তারা। সূত্রের আরও খবর জোট নিয়ে অধীর চৌধুরী কিছু প্রস্তাব দিয়েছিলেন, কিন্তু তাতে সায় দেয়নি আলিমুদ্দিন।

অধীর চৌধুরীকেই জোটের মুখ করতে চায় কংগ্রেস
সূত্রের খবর অনুযায়ী, রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্ব ২০২১-এর নির্বাচনে অধীর চৌধুরীকে জোটের মুখ করতে চায়। কিন্তু বামেদের তাতে সায় নেই। ফলে জটিতলা বাড়তে শুরু করে। সূত্রের আরও খবর তা নিয়েই সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকে জানিয়েছিল সিপিএম-এর রাজ্য কমিটি। এরপরেই রাজ্য নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেন রাহুল গান্ধী।

অধীরের মন্তব্য
অধীর চৌধুরী পরিসংখ্যান দিয়ে বলেছেন ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে ৯০ টি আসনে লড়াই করে কংগ্রেস পেয়েছিল ৪৪ টি আসন। অন্যদিকে বামগুলি ২০০ টি আসনে লড়াই করে মাত্র ৩২ টি আসন পেয়েছিল ২০১৬-র নির্বাচনে। ফলে ২৯৪ আসন বিশিষ্ট রাজ্য বিধানসভায় বামেদের থেকে কংগ্রেস বেশি আসন পেয়েছিল। তিনি বলেছেন জোট নিয়ে বামেদের মধ্যে দ্বিমত সত্ত্বেও তাদের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা হয়েছিল।
অন্যদিকে, অধীর চৌধুরী আরও বলেছেন, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে ৪২টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস পেয়েছিল ২ টি আসন। বামেরা একটিও আসন পায়নি। একটি আসন বাদ দিয়ে বাকি আসনে বাম প্রার্থীদের জমানত জব্দও হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি।

সুজন চক্রবর্তীর প্রতিক্রিয়া
জোট মুখ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে সিপিএম-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, বামেরা কোনও দিনই কাউকে মুখ করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি। তবে জ্যোতি বসু এবং বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ক্ষেত্রে মানুষ ধরে নিত কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন। যদিও সিপিএম-এর এই মন্তব্যের সঙ্গে একমত নয় প্রদেশ কংগ্রেস। তারা বলছে, অধীর চৌধুরী লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা। তিনি মমতার বিকল্প হতেই পারেন। তাদের মত হল, যদি তা মেনে নেওয়া হয়, তাহলে রাজ্যে তৃতীয় বিকল্পের ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা বাড়বে।
বাম-কংগ্রেস জোট করে একুশে বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়বে, বার্তা বিমানের