হোয়াইট হাউজে তিব্বতের প্রেসিডেন্ট, চিনা বিস্তারবাদের বিরুদ্ধে মার্কিন পদক্ষেপের ইঙ্গিত?
নির্বাসনে থাকা তিব্বতী সরকারের প্রেসিডেন্ট লবসান সাঙ্গের হোয়াইট হাউজ সফর ঘিরে বিশ্ব কূটনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে। উল্লেখ্য, লবসানের এই সফর খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ বিগত ৬ দশকের মধ্যে এই প্রথমবার কোনও তিব্বতী সরকারের প্রতিনিধি হোয়াইট হাউজে গেলেন। এদিকে এই সফরের জেরে বেজিং ওয়াশিংটনের প্রতি আরও খাপ্পা হবে, তা বলাই বাহুল্য।

শুক্রবার হোয়াইট হাউজে অনুষ্ঠিত হয় বৈঠক
লবসান সাঙ্গে সেন্ট্রাল তিব্বতী অ্যাডমিনস্ট্রেশনের প্রেসিডেন্ট। ভারতের ধর্মশলায় স্থিত এই প্রশাসনিক সংগঠন আদতে নির্বাসনে থাকা তিব্বতীদের সরকার। লবসান সাঙ্গেকে হোয়াইট হাউজে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন নব নিযুক্ত তিব্বত বিষয়ক মার্কিন কো-অর্ডিনেটর রবার্ট ডেস্ট্রো। শুক্রবার এই বৈঠকের পরই তোলপাড় শুরু হয় বেজিংয়ে।

তিব্বতী সরকারের বক্তব্য
এই সফর প্রসঙ্গে লবসান সাঙ্গের অধীনে থাকা সেন্ট্রাল তিব্বতী অ্যাডমিনস্ট্রেশন একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলে, 'এই অভূতপূর্ব বৈঠকটি সম্ভবত মার্কিন কর্মকর্তাদের সাথে সেন্ট্রাল তিব্বতী অ্যাডমিনস্ট্রেশনের যোগাযোগের জন্য একটি আশাবাদী সুর তৈরি করবে এবং আগামী বছরগুলিতে আরও আনুষ্ঠানিক হবে আমাদের সম্পর্ক।'

তিব্বত ইস্যুতে মার্কিন-চিন দ্বন্দ্ব
বিগত কয়েক বছর ধরেই তিব্বত ইস্যুতে ক্রমেই সংঘাতে জড়িয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চিন। ইতিহাস ঘাটলে জানা যাবে, বর্তমানে মার্কিন-চিন সম্পর্ক সর্বকালীন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এই আবহে কয়েকদিন আগেই মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট মাইক পম্পেও অভিযোগ করেছিলেন যে চিন তিব্বতীদের মানবাধিকার খর্ব করছে।

তিব্বতের জন্য স্বায়ত্তশাসনের দাবি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তিব্বতের জন্য স্বায়ত্তশাসন দাবি করলেও বেজিংয়ের অভিযোগ, আমেরিকা এই ইস্যুতে চিনকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্র করছে। এরই মাঝে খবর প্রকাশিত হয়, জিনজিয়াং প্রদেশের মতো তিব্বতের গ্রামীণ এলাকাতেও বলপূর্বক কাজ করানো হচ্ছে সেখানকার মানুষদের দিয়ে। শুধু তাই নয়, তিব্বত থেকে তিব্বতীদের বলপূর্বক অন্যান্য স্থানে পাঠিয়ে সেই এলাকার ডেমোগ্রাফি বদলে দিচ্ছে কমিউনিস্ট পার্টি।

লাদাখ ইস্যুতে ভারতের পাশে সাঙ্গে
এদিকে লাদাখে চলমান ভারত-চিন সংঘাত নিয়ে কয়েকদিন আগেই মুখ খুলেছিলেন লবসান সাঙ্গে। তিনি বলেছিলেন, 'আমরাতিব্বতের সমস্যার কথা বলবই, আমাদেরপতাকাও উত্তোলন করব। চিনের সঙ্গে আমাদের সমস্যার কথাও বলব। কখনওই আমরা পিছু হটব না। ভারত সবসময়ই তিব্বতকে সমর্থন করেছে। সীমান্তে কর্মরত সৈন্যরা সুরক্ষিত থাকুক। ভারতও শক্তিশালী হোক এবং সুরক্ষিত থাকুক।'
ইমরানে অসন্তুষ্ট ইন্টারনেট জায়ান্টরা, পাকিস্তানে পরিষেবা বন্ধের পথে গুগল-ফেসবুক-টুইটার!