'দ্বিচারিতা' করছেন! নন্দীগ্রাম আন্দোলনে শুভেন্দুর সঙ্গে নিজের অবদানের তুলনা কল্যাণের
ফের নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে (subhendu adhikari) নিয়ে সরব হলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (kalyan banerjee)। তিনি শুভেন্দু অধিকারী সম্পর্কে বলেন, দলের সদস্য থাকব, মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী হয়ে থাকব, আবার অন্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে গোপনে আঁতাত করব, যে ব্যক্তি এসব কাজ করেন, তাঁর কথার তিনি কোনও উত্তর দেবেন না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

নন্দীগ্রাম দিবসের দিনে শুভেন্দুর শরীরী ভাষা নিয়ে কটাক্ষ
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম দিবসের দিনে শুভেন্দু অধিকারীর শরীরি ভাষা নিয়েও কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, নন্দীগ্রাম দিবসের দিনে তাঁর শারীরিক ভাষাটা দেখেছিলেন। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন তিনি সেদিন কাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন। তিনি কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন প্রশ্ন করেছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

নন্দীগ্রাম দিবসে শুভেন্দু অধিকারী
প্রসঙ্গত , ১০ নভেম্বর নন্দীগ্রাম দিবসে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, তিনি প্যারাসুটে নামেননি, লিফটে ওঠেননি। উঠেছেন সিঁড়ি ভেঙে। ফিরহাদ হাকিমের কথা প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেছিলেন, ছোটলোকদের বাজে করা বলানো হচ্ছে। তিনি এর কোনও উত্তর দেবেন না। শুভেন্দু অধিকারীর প্রশ্ন ছিল, কুকুর মানুষের পায়ে কামড়ায়, কিন্তু মানুষ কি কখনও কুকুরের পায়ে কামড়ায়। তাঁর সঙ্গে নন্দীগ্রামের আত্মিক যোগের কথা বলতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন চেনা বামুনের পৈতে লাগে না।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই আন্দোলন
এদিন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই আন্দোলন হয়েছে। তা সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম থেকে চমকাইতলা সর্বত্র। তিনি বলেন, সর্বত্র নেতৃত্ব দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সবাই তাঁর সঙ্গে সহযোগিতা করেছেন।

নন্দীগ্রামে সিবিআই তদন্তের আদেশ এনেছিলেন তিনিই
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, তিনি ২০০৭-এর ১৫ মার্চ সিবিআই তদন্তের আদেশ এনেছিলেন। সেই সময় তৃণমূলের এইসব বড় নেতারা খাটের তলায় ঢুকে গিয়েছিল। বেরিয়ে আসতে পারল তা। একেবারে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত লড়াই করেছিলেন তিনি, বলেছেন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

লক্ষ্মণ শেঠের তুলনা
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করে লক্ষ্মণ শেঠের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি বলেছেন অহংকারের জন্য লক্ষ্মণ শেঠের মতো দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতাকেও মাটির সঙ্গে মিশে যেতে হয়েছে। তিনি বলেছেন, আত্মঅহংকারেই সবাই শেষ হয়ে যায়। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নেত্রী মেনে তাঁকে ঘোষণা করতে হবে, এই দলেই থাকবে। তাহলেই সব ধরনের সহামুভূতি তাঁর সঙ্গে থাকবে। তিনি বলেন, তা না হলে বিরোধিতা আছে, বিরোধিতা থাকবে।

শুভেন্দু অধিকারীর অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কতদিন পর্যন্ত দলের সুবিধা ভোগ করবে, নির্বাচন এলে তবেই কি অন্য দলে যাবে? সব এখানে ভোগ করে নিয়ে তবেই কি অন্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যাবে, প্রশ্ন করেছেন তিনি। কটাক্ষ করে কল্যাণ বলেছেন, একটা মিটিং-এ দু-চার হাজার লোক এনে হৈ-হুল্লোর করা যায়। কিন্তু মানুষ সব দেখছেন, তাঁরাই উত্তর দেবেন। তিনি বলেন, বেইমানদের পশ্চিমবঙ্গে কোনও স্থান হয়নি, হবেও না।