ইমরানে অসন্তুষ্ট ইন্টারনেট জায়ান্টরা, পাকিস্তানে পরিষেবা বন্ধের পথে গুগল-ফেসবুক-টুইটার!
ডিজিটাল কন্টেন্ট নিজেদের খেয়াল খুশি মতো সেন্সর করতে পারবে পাকিস্তানি সরকার। ইমরান খানের এহেন আইনেই ক্ষুব্ধ ফেসবুক, গুগল, টুইটারের মতো সামাদিক মাধ্যম এবং ইন্টারনেট সংস্থাগুলি। এর জেরে ইমরানের খানের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে পাকিস্তান ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি পর্যন্ত দিল সংস্থাগুলি।

ইমরান খানের সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি
ফেসবুক-টুইটার-গুগল-সহ বেশ কয়েকটি সংস্থার জোট এশিয়া ইন্টারনেট কোয়ালিশনের তরফে ইমরান খানের সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে জানানো হয়েছে যে, নয়া আইন যদি না বদলানো হয় তাহলে পাকিস্তানে তারা পরিষেবা বন্ধ করতে বাধ্য হবে। পাকিস্তানকে তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জন্য গঠিত নানা বিধিনিষেধ সংশোধনের দাবি জানানো হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ার উপর পাকিস্তানের নিষেধাজ্ঞা জারি
এশিয়া ইন্টারনেট কোয়ালিশনের দাবি, বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার উপর যে সমস্ত নিষেধাজ্ঞা পাকিস্তানি সরকার জারি করেছে, তাতে দেশের সাধারণ মানুষের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দিতে নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে কোম্পানিগুলিকে। নাগরিক সুরক্ষা বিধিও রক্ষণেও অসুবিধা হবে। সংগঠনগুলির জোটের তরফে দাবি, নতুন আই অনুযায়ী ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে তারা রাজি নয়।

কী বলছে নয়া আইন?
নয়া আইনে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলি পরিষেবা দিতে চাইলে, ইসলামাবাদে তাদের অফিস থাকা বাধ্যতামূলক। শুধু তাই নয়, সমস্ত তথ্য স্টোর করে রাখতে তৈরি করতে হবে একটি ডেটা সার্ভার। এবং প্রয়োজনমতো কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তথ্য মুছেও ফেলতে হবে। এছাড়াও সন্দেহজনক অ্যাকাউন্টের তথ্য কর্তৃপক্ষকে বিস্তারিত জানাতে হবে।

পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি
আইনে আরও বলা হয়েছে, এই সব নিয়মবিধি না মানলে মোটা অঙ্কের জরিমানাও দাবি করবে সরকার। পরিষেবা প্রদানের ক্ষমতাও কেড়ে নেওয়া হবে। এরপরই এশিয়া ইন্টারনেট কোয়ালিশনের মাধ্যমে গুগল-ফেসবু-টুইটারের স্পষ্ট বক্তব্য, এই সব নিয়ম না বদলালে সে দেশ থেকে নিজেদের পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে তারা।
ফাঁস ইসলামাবাদ-জইশ আতাঁত, নাগরোটা কাণ্ডে নয়াদিল্লির ধমকে কাচুমাচু পাকিস্তান