মুখ্যমন্ত্রী ক্ষুদ্র মনের! তৃণমূলের একের পর এক বহিরাগতের নাম স্মরণ করালেন দিলীপ ঘোষ
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee) ক্ষুদ্র মনের। এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটাই অভিযোগ করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ (dilip ghosh)। এদিন তিনি বলেন মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্যে ভারতবাসীর মনে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

বিজেপিতে 'বহিরাগত'রা
রাজ্যে বিজেপির কাজে আগে থেকেই যুক্ত ছিলেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেননরা। এবার তাঁদের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যকে। বিজেপির পাঁচ সাংগঠনিক ভাগে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সুনীল দেওধরের মতো নেতাদের। তাঁরাই রিপোর্ট দেবেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে। যা নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ করবেন অমিত শাহ, জেপি নাড্ডারা।

বহিরাগতদের ভয় পাবেন না, বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী
দলের নেতা কর্মীদের আশ্বস্ত করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, এইরাজ্যের মাটিতে বাইরের কারও হুমকিতে ভয় পাবেন না। পোস্তায় জগদ্বাত্রী পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ভোটে আগে বাইরের কেউ ভয় দেখাচ্ছে। ভয় পাবেন না। অন্যদিকে বিজেপির নির্বাচনী প্রস্তুতিকে বিঁধে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেছেন, বাংলাকে নিশানা করে বহিরাগতরা ব্রিগেড তৈরি করেছে। যদিও তাঁদের দলের নির্বাচনী কৌশলী প্রশান্ত কিশোর যে বিহারের এবং তাঁকে যে ২০১৯ থেকেই দলের সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, সেসম্পর্কে বিজেপির তরফে বলা হলেও, কোনও উত্তর করেনি তারা।

মুখ্যমন্ত্রী ক্ষুদ্র মনের, বলছেন দিলীপ
এব্যাপারে আক্রমণ করতে গিয়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতি বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী ক্ষুদ্র মনের। তিনি বলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ৪০ লক্ষ পরিযায়ী বিভিন্ন রাজ্যে কাজ করেন। অন্য। রাজ্য থেকে তাদের যদি বহিরাগত বলে ফেরত পাঠানো হয়, তাঁদের চাকরি দিতে পারবেন তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রশ্ন করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, পশ্চিমবাংলাকে পশ্চিমবাংলাদেশ করতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির রাজ্য সভাপতির প্রশ্ন, পশ্চিমবঙ্গ ঢুকতে গেলে কি ভিসা লাগবে?

বহিরাগতদের নিয়ে কাজ করেছে তৃণমূলও
এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, তৃণমূলের সাংসদ ছিলেন কেডি সিং। তিনি অসমের বাসিন্দা হলেও, তাঁকে এই রাজ্য থেকে টিকিট দিয়েছিল। গতবছরে কংগ্রেসের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভিকে রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচনিত করেছে তৃণমূল। তিনিও তো এ রাজ্যের বাসিন্দা নন, তিনিও তো বহিরাগত। বলেছেন দিলীপ ঘোষ। দিলীপ ঘোষ আরও বলেছেন, তৃণমূলের সাংসদ থাকা সিমির প্রতিষ্ঠাতা ইমরানও এই রাজ্যের বাসিন্দা নন।

সত্যকে ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে
সুজাপুরে বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিন ফের সেখানে যায় ফরেনসিক দল। তাঁরা পরীক্ষা করার সময় ফের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এব্যাপারে বিজেপির তরফে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করানোর দাবি উঠেছে। যদিও সুজাপুরের প্লাস্টিক কারখানার বিস্ফোরণকে বড় করে দেখতে নারাজ রাজ্যের শাসক তৃণমূল। যা নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেছেন সত্যকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।