নিম্নমানের করোনা কিট, টেস্টিং প্রক্রিয়া নিয়ে উঠছে প্রশ্ন! এই কারণেই কমছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা?
মাত্র দু-মাস আগেও যে দেশে দৈনিক আক্রান্তের হার ৯৭ হাজারের গণ্ডি ছুঁয়ে ফেললেও তা ফের গত দেড়মাসে ধরে একটানা নিম্নমুখী রয়েছে। এমনকী বর্তমান করোনা পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই তা ৫০ হাজারের নীচে রয়েছে। এমতাবস্থায় উপর থেকে ভারতের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে মনে হলেো আদপে পর্যাপ্ত করোনা টেস্টের অভাবের কারণেই এই প্রতিচ্ছবি বলে মনে করছেন অনেকেই।

৯০ লক্ষ করোনা আক্রান্তের গণ্ডি ছুঁল ভারত
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শুক্রবারই ৯০ লক্ষ করোনা আক্রান্তের গণ্ডি ছুঁয়ে ফেলে ভারত। শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯০ লক্ষ ৬ হাজারের কিছু বেশি। মারা গিয়েছেন ১ লক্ষ ৩২ হাজারের কিছু বেশি মানুষ। এদিকে ১ কোটি ২০ লক্ষের বেশি আক্রান্ত নিয়ে বিশ্ব করোনা তালিকায় এখনও শীর্ষ স্থানে রয়েছে ভারত। এমনকী সেদেশে এখনও রোজই করোনার কবলে পড়ছেন রেকর্ড সংখ্যক মানুষ। অন্যদিকে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভারতের করোনা আক্রান্ত এতটা নিম্নমুখী কী ভাবে থাকে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল বেশ কিছুদিন ধরেই।

নিম্নমানের করোনা কিট, টেস্টিং প্রক্রিয়া নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
এদিকে উৎসব মরসুমে নিজ রাজ্যের সুস্থ ভাবমূর্তি ধরে রাখতে একাধিক রাজ্যে সরকারের বিরুদ্ধে করোনা টেস্টে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তোলেন থাইরোকেয়ারের শীর্ষকর্তা। যা নিয়ে উত্তাল হয় রাজ্যরাজনীতি। এছাড়াও ভারতের নিম্নমানের করোনা কিট, টেস্টিং প্রক্রিয়া নিয়েও বর্তমানে একাধিক প্রশ্ন উঠছে বলে যাচ্ছে।

দৈনিক করোনা টেস্ট নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ
অন্যদিকে ভারতের দৈনিক নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা নিয়েও চিন্তায় বিশেষজ্ঞ মহল। এদিকে সংক্রমণের প্রাথমিক স্তরে করোনা বেঁধে রাখতে বর্তমানে নমুনা পরীক্ষার উপরেই বিশেষ জোর দিচ্ছে একাধিক করোনা কবলিত বড় বড় দেশ। সেখানে কানিক উল্টোপথেই হাঁটছে ভারত। প্রায় ১৩৫ কোটির বেশি মানুষের ভারতে বর্তমানে প্রত্যহ মাত্র ১০ লক্ষেরও কম মানুষের করোনা পরীক্ষা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। যার ফলে আক্রান্তের সংখ্যা প্রশ্নাতীত ভাবে কম বলে দেখা যাচ্ছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

প্রশ্নের মুখে ভারতের ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট
পাশাপাশি করোনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের উপরেও বিশেষ ভরসা রাখতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরা। আর এই পরীক্ষাতেই ভুল রিপোর্ট আসার পরিমাণ সর্বাধিক বলেও জানাচ্ছেন তারা। যদিও ভারতের অর্ধের বেশি করোনা পরীক্ষা এই পদ্ধতির মাধ্যেই হচ্ছে। যদিও আমেরিকা, ইংল্যান্ডের মতো একাধিক উন্নত রাষ্ট্র আবার করোনা পরীক্ষার জন্য আরটি-পিসিআর টেস্টে ভরসা করছে। এই পদ্ধতিতে তুলনামূলক ভাবে দেরিতে রেজাল্ট পাওয়া গেলেও তা অনেক বেশি ভরসাযোগ্য বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাড়ছে করোনা উদ্বেগ! শনিবার থেকেই ১৪৪ ধারা জারি গোটা রাজস্থানে