রাজনৈতিক আক্রমণ নয় ব্যক্তিগত আক্রমণ হচ্ছে, অনিল বসুর কথা স্মরণ করিয়ে কল্যাণকে তোপ শুভেন্দুর
একের পর এক আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীকে করেছেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বলাগড়ে সভা করে নাম না করে তাঁকেই পাল্টা আক্রমণ শানালেন শুভেন্দু। প্রাক্তন সাংসদ অনিল বসুকে স্মরণ করিয়ে শুভেন্দু বলেন কেউ যদি রাজনৈতিক মঞ্চে ব্যক্তি আক্রমণ করেল তাহলে আপনারা কী মেনে নেবেন? এই মন্তব্যকে জনসভায় প্রশ্ন ছুড়ে দেন শুভেন্দু অধিকারী।

কল্যাণকে আক্রমণ শুভেন্দুর
বলাগড়ের সভা থেকে নাম না করে শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জনভায় প্রশ্ন ছুড়ে দেন, কেই যদি রাজনৈতিক মঞ্চে ব্যক্তি আক্রমণ করেন তাহলে আপনারা মেনে নেবেন। আমার পরিবারকে ইঙ্গিত করে ব্যক্তি আক্রমণ করা হচ্ছে। একথা বলতে গিয়ে অনিল বসুর কথা স্মরণ করিয়েছেন তিনি।

শুভেন্দুকে আক্রমণ কল্যাণের
শুভেন্দু অধিকারীকে একাধিক তির্যক আক্রমণ করেছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আক্রমণ শানিয়ে বলেিছলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছাতা না থাকলে মিউনিসিপালিটির সামনে আলু বিক্রি করতেন শুভেন্দু। এমনকী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েক কল্যাণেই ৪ বার জন প্রতিনিধি নির্বাচিত হতে পেরেছেন তিনি। দাদার অনুগামী যাঁরা তাঁরা দাদার সঙ্গে চলে যান বলে আক্রমণের সুর চড়িয়েছিলেন শুভেন্দু।

লক্ষ্মণ শেঠকে স্মরণ করালেন কল্যাণ
সিপিএমের দাপুটে নেতা লক্ষ্মণ শেঠকে হারিয়ে কাঁথিতে নির্বাচিত হয়েছিলেন শুভেন্দু। লক্ষ্মণ শেঠের ঔদ্ধত্য আর অহঙ্কারই তার পতনের কারণ হয়েছিল। এবার সেই পথেই এগোচ্ছেন শুভেন্দু। অহংকারে পতন অনিবার্য। আবার শুভেন্দুকে বেনাচাপড়া, নন্দীগ্রাম আন্দোলনের কথা স্মরণ করিয়েছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে নন্দীগ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসে ভাঙন শুরু হয়ে গিয়েছে।

অন্য দলের সঙ্গে যোগযোগ
অন্য দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেকারণেই দলে থেকেও দলীয় নেতার বিরুদ্ধে কথা বলছেন। বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন কল্যাণ। প্রসঙ্গচ উল্লেখ্য গতকাল রামনগরের সভা থেকে শুভেন্দু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আমাকে তাড়িয়ে দেননি। আমিও ছেড়ে যায়নি। দলে থাকার বার্তার মধ্যেও ধোঁয়াশা রেখে দিেয়ছেন শুভেন্দু। এই নিয়ে ফের শুভেন্দুর সঙ্গে আলোচনায় বসতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আগামী সপ্তাহেই হবে সেই বৈঠক।
নন্দীগ্রামে তাল কাটছে তৃণমূলের, বিরাট ভাঙন ধরিয়ে একাধিক নেতা-কর্মীর যোগদান বিজেপিতে