৩৯ নিরাপরাধ আফগান নাগরিককে নৃশংস ভাবে হত্যা, কাঠগড়ায় অস্ট্রেলিয়ান সেনা
অভিযোগটা উঠেছিল দীর্ঘদিন আগেই। অবশেষ অন্তর্তদন্তের নয়া রিপোর্টের হাত ধরেই সামনে এল আসল সত্যি। আফগানিস্তানের ৩৯ জন নিরাপরাধ মানুষকে হত্যার অভিযোগে মুখ পুড়ল অস্ট্রেলিয় সেনার। এদিকে এই রিপোর্ট সামনে আসার পরেই অজি সেনার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দার ঝড় উঠেছে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলেও।

সূত্রের খবর, অস্ট্রেলিয়ার সেনার সবচেয়ে দক্ষ ইউনিটকে আফগানিস্তানে মার্কিন সেনার সঙ্গে একটি যৌথ মিশনে পাঠানো হয়েছিল ২০০২ সালে। ন্যাটো বাহিনীর হয়ে আফগানিস্তানে দীর্ঘ দিন লড়াইও করে তারা। আর তারপর থেকেই একের পর এক যুদ্ধপরাধে জড়িয়েছে অজি সেনা। সেনার অভ্যন্তরীণ তদন্তের রিপোর্ট সামনে আসার পর একথা স্বীকার করে নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ সেনাকর্তা জেনারেল অ্যাঙ্গাস ক্যাম্পবেল।
বর্তমানে ২০০৫ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সেনাবাহিনীর যুদ্ধাপরাধ নিয়ে তদন্ত চালিয়েছে অস্ট্রেলীয় সেনারই ইনস্পেক্টর-জেনারেলর বিশেষ টিম। আর তারপরেই এই চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট সামনে আসছে। যেখানে স্পষ্টতই দেখা যাচ্ছে সাধারণ মানুষের উপর কী ভাবে অত্যাচার চালিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার এলিট ফোর্সের কিছু সেনা। ২০০৯ সাল থেকে এই অপরাধের বাড়বড়ন্ত চরমে পৌঁছায় বলেও জানা যায়।
এমনকী ২০১২-১৩ সালে হত্যালীলা চরমে পৌঁছায়। সদ্য প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে এই সময়ের ব্যবধানে ২৫ জন অজি সেনার হাতে খুন হন আফগানিস্তানের প্রায় ৩৯ জন যুদ্ধবন্দি, কৃষক, শিক্ষক সহ বিভিন্ন পেশার মানুষ। যদিও ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত ১৯ জন সেনা কর্মীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রুজু করেছে অস্ট্রেলিয়ার সামরিক বিভাগ। তারপরেও এখনও বেশ কিছু সেনাকর্মী বহাল তবিয়তেই তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে খবর।
এমনকী বছরের পর বছর ধরে অসংখ্য নিরীহ পুরুষ-মহিলা এমনকী শিশুদেরও নির্বাচারে খুন করেছে অজি সেনা। যার পুরো তথ্য এই রিপোর্টে নেই। অন্যদিকে মানবিধিকার লঙ্ঘন সহ অজি সেনার বিরুদ্ধে একাধিক বড়সড় অভিযোগ উঠলেও এই ঘটনায় নিঃশর্ত ক্ষমাও চেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ সেনাকর্তা জেনারেল অ্যাঙ্গাস ক্যাম্পবেল। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়ে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তিরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
'অহঙ্কারে পতন অনিবার্য, শুভেন্দুকে লক্ষ্মণ শেঠের কথা স্মরণ করালেন কল্যাণ