শুভেন্দুকে ধরে রাখতে চান মমতা! কল্যাণের ব্যক্তিগত আক্রমণ বুমেরাং হবে না তো
শুভেন্দু অধিকারীকে তৃণমূলে ধরে রাখতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইজন্যই তিনি গোপনে দুই বর্ষীয়ান সাংসদকে দায়িত্ব দিয়েছেন শুভেন্দুর মানভঞ্জনের। কিন্তু পাশ থেকে আর এক সাংসদ এসে শুভেন্দুর তৃণমূলের পথ কঠিন করে দিচ্ছেন। রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, শুভেন্দু যখন অনেকটাই নমনীয় হয়েছেন, তখন কল্যাণের সমালোচনা বুমেরাং হতে পারে।

শুভেন্দু বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি তৃণমূলেরই সদস্য
সম্প্রতি তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদের সঙ্গে শুভেন্দুর বৈঠকের পর রামনগরের মেগা শো-তে বিস্ফোরক হতে দেখা যায়নি শুভেন্দুকে। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নিয়েছেন। সোজাসাপ্টা বার্তা দিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে তাড়িয়ে দেননি, আবার তিনি দল ছাড়েননি। তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি এখনও তৃণমূলেরই সদস্য।

মিউনিসিপ্যালিটির সামনে আলু বেচতিস! তোপ কল্যাণের
কিন্তু তৃণমূলের সাংসদ কল্যাণের সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে শুভেন্দু বলাগড়ের এক সভায় যে ভাষায় সতীর্থ সাংসদকে নিশানা করেছেন, তারপর ফের জল্পনার পারদ চড়েছে শুভেন্দুকে নিয়ে। শুভেন্দুকে আগে কল্যাণ আক্রমণ করেছিলেন। তখন বলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর আশীর্বাদ না পেলে তুই তো মিউনিসিপ্যালিটির সামনে আলু বেচতিস।

'আমার বাবার পরিচয়ে রাজনীতি করতে আসিনি'
কল্যাণ ফের তাঁকে নিশানা করেন। বলেন, আমি আমার বাবার পরিচয়ে রাজনীতি করতে আসিনি। নিজে অনেক লড়াই সংগ্রাম করে তবে বড় হয়েছি। অহঙ্কার করতে তা চূর্ণ হয়ে যাবে। পূর্ব মেদিনীপুরের লক্ষ্মণ সেঠ একটা সময় দোর্দণ্ডপ্রতাপ ছিলেন। কিন্তু তাঁকেও সরে যেতে হয়েছে।

আমার সম্পর্কে কু-কথা, আপনারা কি তা সমর্থন করবেন?
তারপর কল্যাণের নাম না করেই বলাগড়ের সভা থেকে শুভেন্দু বলেন, হুগলি জেলার সিপিএম নেতা অনিল বসু একটা সময় অনেক কু-মন্তব্য করেছেন, আপনারা তাঁকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন, সমর্থন করেননি। এখন আবার এক জনপ্রতিনিধি আমার সম্পর্কে কু-কথা বলছেন, আপনারা কি তা সমর্থন করবেন? জলতা উচ্চৈস্বরে জানিয়ে দেন, আমরা আপনার পাশে আছি।

কল্যাণ বনাম শুভেন্দু দ্বৈরথ জল্পনার পারদ চড়িয়ে দিল
শুভেন্দুর এহেন বার্তা ফের রাজনৈতিক মহলে জল্পনার বাতাবরণ তৈরি করেছে। সৌগত রায় ফের তাঁর সঙ্গে বসার বার্তা দিয়েছেন। আগামী সপ্তাহেই ফের শুভেন্দুর সঙ্গে বসবেন তৃণমূলের দুই সাংসদ। তার আগে কল্যাণ বনাম শুভেন্দু দ্বৈরথ জল্পনার পারদ চড়িয়ে দিল অনেকটাই।