চিন গোপনে সিকিমের দিকে পা বাড়াতে শুরু করেছে ! পূর্ব সীমান্ত ঘেঁসে বেজিংয়ের কোন সতর্ক চাল
গোটা দুনিয়ার নজর লাদাখে। সেখানে চিন আর ভারত কোন স্টান্স নেয় , সেদিকে নজর বিশ্বের কূটনৈতিক মহলের। এদিকে, বিশ্বের চোখে ধুলো দিয়ে চিন নিজের চেনা 'খেলা'য় ব্যাস্ত! মুখে বেজিং যা বলে, তার উল্টোটা করে দেখায় বাস্তবে! আর সেই পন্থাতেই এবার সিকিমের পথে পা বাড়াচ্ছে চিন। এর নেপথ্য়েও রয়েছে চিনের সতর্ক চাল!

চিন কোন গেমপ্ল্যানে ভারতের পূর্ব সীমানামুখী!
গোটা বিশ্ব যখন লাদাখের দিকে নজর রাখছে, তখন গোপনে ভারতের পূর্ব সীমান্তের দিকে ক্রমাগত পরিকাঠামো জোরালো করতে শুরু করে দিয়েছে চিন। ভারতের পূর্ব সীমানাতা ঘেঁসে তিব্বতে লালফৌজ নিজের সেনা ঘাঁটি, বিমানঘাঁটি সহ একাধিক পরিকাঠামো পোক্ত করছে। গোপনে চিনের এই পদক্ষেপ ভালোভাবে নিচ্ছে না দিল্লি।

জমি ছাড়ছে না চিন!
মুখে সেনা সরানোর কথা বললেও, বাস্তবের মাটিতে দেখা যাচ্ছে পূর্ব লাদাখ থেকে সেরানো তো দূর অস্ত, সেনার পরিমাণ বাড়াচ্ছে চিন। পূর্ব লাদাখ থেকে হিমাচল প্রদেশের কাউরিক, ফিশ টেইল ওয়ান, এবং অরুণাচল পর্যন্ত লালফৌজের গতিবিধির ওপর নজর রাখতে শুরু করেছে ভারত।

হিমাচলপ্রদেশ ,উত্তরাখণ্ডের কাছে চিন রাস্তা নির্মাণ করছে!
এদিকে, খবর হিমাচলের কছে চুরুপ গ্রামে কাউরিক পাস, উত্তরাখণ্ডজের তুনজম লায়ের কাছে নির্মাণ কাজ শুরু করেছে চিন। জানা যাচ্ছে, হিমাচল প্রদেশের সীমান্ত থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে চিন এই পরিকাঠামো গঠনের কাজ করছে। যা উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল প্রদেশ সীমান্তে মোতায়েন সেনাকে সজাগ রাখছে।

অরুণাচলের কাছে ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার ইউনিট!
এদিকে জান গিয়েছে, অরুণাচল সীমান্তের ৬০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে নেয়াংগ্লু। সেখানে চিনের সেনা ১৯৬২ সালের ক্যাম্পের ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার ইউনিট সবচেয়ে বেশি শক্তি নিয়ে মোতায়েন রয়েছে। এই ইউনিটে জ্যামার যেমন একটি বিশেষ দিক, তেমনই স্যাটেলাইট তথ্য হাতানোর বিভিন্ন প্রক্রিয়া তাদের হাতে রয়েছে।

লালফৌজের গোয়েন্দাগিরি শুরু ভারত সীমান্ত জুড়ে!
জানা যাচ্ছে বাম লা থেকে শুরু করে গোটা সিকিম, অরুণাচল, পূর্ব লাদাখ এলাকা জুড়ে ভারতের সীমান্ত ঘেঁসে চিন গোয়েন্দা সূত্রে খবর নিতে শুরু করেছে। নজরদারিও এলাকাগুলিতে বাড়িয়েছে চিন। সিকিমের সেবু লা থেকে ২৭ কিলোমিটার দূরে চাংমু তে একচি কমিউনিকেশন পরিকাঠামো তৈরি করে ফেলেছে চিন।

কাশঘরে মিসাইল মোতায়েন চিনের!
এদিকে, চিন সীমান্তের কাশঘরে নতুন সার্ফেস টু এয়ার মিসাইল মোতায়েন করেছে চিন। যা ভারতের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে ৪৭৫ কিলোমিটার দূরে।আকসাই চিনের আকাশে নিরাপত্তার মূল কেন্দ্র এই কাশঘর বিমান ঘাঁটি। সেখানে ড্রোনের সংখ্যাও চিনকে বাড়াতে দেখা যাচ্ছে। ফলে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে চিনের মতলব নিয়ে।
কারচুপির অভিযোগ তুলেও বড় ধাক্কা ট্রাম্পের, জর্জিয়ায় জয়লাভের পর নতুন রেকর্ড বাইডেনের ঝুলিতে