ভাঙল ৪৭ দিনের রেকর্ড! ফের দেশে সুস্থতার হারকে ছাপিয়ে গেল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা
শীত পড়তেই গোটা দেশজুড়ে ফের জাঁকিয়ে বসছে করোনা সংক্রমণ। পাশাপাশি অন্যদিকে উৎসবের মরসুমে সঠিক ভাবে করোনা বিধি পালন না করাতেই বাড়ছে বিপত্তি। এমতবস্থায় বৃহষ্পতিবার ফের ভাঙল গত ৪৭ দিনের রেকর্ড। এদিকে আশার কথা এই যে করোনা আক্রান্তের নিরিখে ভারত এই মুহূর্তে ৯০ লক্ষের গণ্ডি পার করলেও সুস্থ হয়ে গিয়েছেন ৮৪.২৮ লক্ষের বেশি মানুষ।

৪৭ দিন পর ভাঙল রেকর্ড
সরকারি পরিসংখ্যান বলছে প্রায় ৪৭ দিন পর ফের গোটা দেশে একদিন সুস্থ হওয়া মানুষের সংখ্যাকে ছাপিয়ে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। এদিকে গত প্রায় দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে ভারতে করোনা গ্রাফ ছিল নিম্নমুখই। এমনকি এক একদিন দৈনিক সংক্রমণের হার নেমে আসে ৩০ হাজারের নীচে। কিন্তু অবশেষে ৪৭ দিন পর ভাঙল সেই রেকর্ড।

দৈনিত সুস্থতার সংখ্যাকে ছাপিয়ে গেল আক্রান্তের সংখ্যা
এদিকে দেশের বর্তমান করোনা মানচিত্রে দেখা যাচ্ছে বৃহষ্পতিবার সারাদিনে গোটা দেশে ৪৫ হাজার ৮৮২ জন নতুন করোনা রোগীর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। সেখানে ওই দিন সারাদিনে করোনা কবল থেকে পুরোপুরি মুক্ত হয়েছেন ৪৪ হাজার ৮০৭ জন। আর এতেই ভাঙল গত প্রায় দেড় মাসের অভাবনীয় রেকর্ড। যদিও গত দুমাস আগেই গোটা ভারতে যে হারে করোনা সংক্রমণ দেখা গিয়েছিল তা কার্যত এখন অর্ধেক হয়ে গিয়েছে।

সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহের পর থেকেই ধার কমেছে করোনার
পাশাপাশি গত সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহের পর থেকেই এই ধারা চলছিল ভারতে। মাঝে বেশ কিছুটা পারাপতন লক্ষ্য করা গেলেও করোনার চোখ রাঙানি উপেক্ষা করেই সুস্থতার হার ছিল উর্ধমুখী। যদিও আমেরিকা বা ইউরোপীর মতো ভারতের মাটিতেও ফের করোনা যে জাঁকিয়ে বসবে না সেই নিশ্চয়তা দিতে পারছে না কোনও বিশেষজ্ঞই। এমতাবস্থায়, কিছুদিন সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমুখী থাকলেও দিল্লি ও কেরলেও ইতমধ্যেই পশ্চিমা দেশগুলির মধ্যেই করোনা তৃতীয় পর্বের সংক্রমণ শুরু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

উদ্বেগ বাড়াচ্ছে দিল্লি, কেরল
এদিকে অক্টোবর শুরু থেকেই দেশব্যাপী একাধিক উৎসব ও বিহার, মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলি ভোটের মাঝেও ভারত যে ভাবে করোনাকে একটি নির্দিষ্ট সীমারেখায় বেঁধে তাতে সাধুবাদ জানাচ্ছিলেন অনেকেই। কিন্তু ছন্দপতন ঘটে বৃহষ্পতিবারই। এদিকে গোটা দেশের পাশাপাশি সব থেকে বেশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে দিল্লি ও কেরল। বর্তমান করোনা বুলেটিনে দেখা যাচ্ছে গত ২৪ ঘন্টা শুধুমাত্র রাজধানীতেই করোনার কবলে পড়েছেন সাড়ে ৭ হাজারের বেশি মানুষ। সেখানে কেরলে সংক্রমিত হয়েছেন ৫ হাজার ৭০০ জনের কাছাকাছি।
ওয়েইসি চালে কুপোকাত তৃণমূল, বাংলার ঘাসফুল প্রান্তরে গেরুয়া ঝড় সময়ের অপেক্ষা