কংগ্রেস বাঁচাতে নাকি রাহুল গান্ধীকে সিংহাসনে ফেরাতে? সোনিয়ার নয়া কমিটি ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে
বিহার নির্বাচনের পর ফের একবার কংগ্রেসে অভ্যন্তরীণ কলহ চলে এসেছিল বাইরে। প্রকাশ্যে মুখ খুলে 'ব্র্যান্ড গান্ধী'র গ্রহণযোগ্যতার উপর প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন কপিল সিব্বলের মতো বর্ষীয়ান নেতা। তবে এটাই প্রথমবার নয়। এর আগেও কংগ্রেসের ২৩ জন শীর্ষ স্থানীয় নেতা সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে সাংগঠনিক পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিলেন। কতকটা সেই সব বিদ্রোহী নেতাদের চুপ করাতেই এবার নয়া কমিটি গঠন করলেন সোনিয়া গান্ধী।

তিনটি কমিটি গঠন করার কথা ঘোষণা করেন সোনিয়া
এদিনই তিনটি কমিটি গঠন করার কথা ঘোষণা করেন সোনিয়া গান্ধী। সেই কমিটিতে স্থান পেয়েছেন বিদ্রোহ করা বেশ কয়েকজন নেতা। রয়েছেন শশী থারুর, গুলাম নবি আজাদ, বীরাপ্পা মৌলি এবং আনন্দ শর্মার মতো নেতা যাঁরা সোনিয়াকে চিঠি লিখেছইলেন। তবে কমিটিতে স্থান পাননি কপিল সিব্বল।

কী কাজ এই কমিটিগুলির?
নবগঠিত তিনটি কমিটির কাজই হল জাতীয় নিরাপত্তা, বিদেশনীতি এবং অর্থনীতির অবস্থা নিয়ে সোনিয়াকে অবগত করা ও দলের অবস্থান কী হবে তা ঠিক করা। এই তিনটি কমিটিতেই রয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিং। তাছাড়া রয়েছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ পি চিদাম্বরম।

কোন কমিটিতে রয়েছেন কে?
বিদেশনীতি বিষয়ক কমিটিতে রয়েছেন আনন্দ শর্মা এবং শশী থারুর। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ পি চিদাম্বরমকে রাখা হয়েছে অর্থনীতি সংক্রান্ত কমিটিতে। জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন গুলাম নবি আজাদ এবং বীরাপ্পা মৌলি।

বিক্ষুব্ধদের শান্ত করতেই এই পদক্ষেপ
এদিকে বিশেষজ্ঞদের মত, এই কমিটি আসলে বিদ্রোহী নেতাদের শান্ত করে ফের গান্ধী আনুগত্যের পথে ফেরানোর পথ। বিহার নির্বাচনে জয় লাভ করে রাহুলকে কংগ্রেসের মসনদে ফেরানোর যে স্বপ্ন দেখা হয়েছিল, তা পূরণ হয়নি। বরং গান্ধী বিরোধিতা আরও প্রবল হয়েছে এই নির্বাচনের পর। তাই এবার বিক্ষুব্ধদের শান্ত করতে তাদেরকে 'সম্মান' জানাতেই এই কমিটি গঠন।
ওয়েইসি চালে কুপোকাত তৃণমূল, বাংলার ঘাসফুল প্রান্তরে গেরুয়া ঝড় সময়ের অপেক্ষা