মাতলার মুখে দাঁড়িয়ে থাকা হ্যালিডে দ্বীপ পর্যটকদের অতি পছন্দের অভয়ারণ্য
সৌন্দর্য্যের খোঁজে সাত সমুদ্র তেরো নদী পেরোতে হয় না। হাতের কাছেই খুঁজে পাওয়া যায় সম্পদ। বঙ্গোপসাগরের গা ঘেঁষা মাতলা নদীর মুখে দাঁড়িয়ে থাকা হ্যালিডে দ্বীপ তেমনই এক স্থান, যেখানে বন্যপ্রাণই হয় পর্যটকদের মূল আকর্ষণ। সুন্দরবনের বিখ্যাত তিনটি অভয়ারণ্যের মধ্যে অন্যতম এই দ্বীপে পর্যটকদের আনোগানা বেড়েই চলেছে। রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, নোনা জলের কুমীর, চিত্রা হরিণদের দর্শন পেতে মুখিয়ে থাকেন প্রত্যেকে।

অবস্থিতি ও ইতিহাস
হ্যালিডে দ্বীপ বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় অবস্থিত। বঙ্গোপসাগরের কাছে মাতলা নদীর মুখে দাঁড়িয়ে থাকা ম্যানগ্রোভ অরণ্য়ের দ্বীপের বিস্তার প্রায় ৬ বর্গ কিলোমিটার। ১৯৭৬ সালে হ্যালিডে দ্বীপকে অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তারপর থেকেই এই স্থানে পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রে।

কীভাবে যাবেন
শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে ক্যানিং পৌঁছে যাওয়া প্রাথমিক কাজ। সেখান থেকে হ্যালিডে দ্বীপে পৌঁছনোর বাস এবং প্রাইভেট গাড়ি পাওয়া যায়। অনেকে কলকাতা থেকেই গাড়ি করে পাড়ি জমান হ্যালিডে দ্বীপ বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্যের উদ্দেশে।

কোথায় কোথায় যাবেন
১) হ্যালিডে দ্বীপ বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্যের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ বুড়িরদাবরি ওয়াচ টাওয়ারে বসে সময় যে কীভাবে কেটে যায়, টের পাওয়া যায় না। ম্যানগ্রোভ অরন্যের বুক ভেঙে এগিয়ে চলা পথে গা ছমছম করে উঠবে। তবে ওয়াচ টাওয়ার থেকে হরিণ, বন্য শুকোর এবং কুমীরের নাড়াচাড়া দেখে মন ভরে যায়।
২) সংখ্যায় কম হলেও কখনও সখনও এই দ্বীপে দেখা দেন দক্ষিণরায়। কখনও মাতলায় নেমে স্নান ও জলপানও করে থাকে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। কপাল ভাল থাকলে বুড়িরদাবরি ওয়াচ টাওয়ার থেকেই দৃষ্টিগোচর বাঘ।
৩) শীতে এই দ্বীপে ভিড় করে পরিযায়ী পাখিরা। তাদের কলরব অপরূপ পরিবেশ তৈরি করে।

কোথায় থাকবেন
সম্প্রতি রাজ্য প্রশাসনের উদ্যোগে এই দ্বীপকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে নানা রিসর্ট। তাই এই এলাকায় ভিড়ও নিত্যদিন বেড়েই চলেছে।
ম্যানগ্রোভ অরণ্যে পরিযায়ী পাখির ঝাঁক, হেনরি আইল্যান্ডে হারাতে চায় মন