চিনা কাঁটায় অবরুদ্ধ পথ! ভারত কী আদৌও পাবে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ?
রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের কার্যকারিতা দীর্ঘদিন থেকেই প্রশ্ন কুলে আসছে ভারত। এমনকী স্থায়ী ও অস্থায়ী সদস্যের যে পুরনো কাঠমো রয়েছে তাঁর আমূল বদলেরও দাবি করছে ভারত সহ একাধিক দেশ। এমতাবস্থায় রাষ্ট্রপুঞ্জের ৭৫তম সাধারণ সভায় ফের এই প্রসঙ্গে সরব হতে দেখা যায় রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টি এস তিরুমূর্তি। এমনকী এই ক্ষেত্রে চিনা একাধিকপত্য ও স্থায়ী সদস্যপদ পেতে বেজিংয়ের কারসাচি প্রসঙ্গেও সরব হয়েছে ভারত।

প্রায় এক দশক ধরে নিজেদের দাবিতে সোচ্চার ভারত
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ১৭ই জুন ফের দুবছরের মেয়াদে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যপদ পায় ভারত। এর আগে মোট ৭ বার নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যপদ পেয়েছে ভারত। কিন্তু স্থায়ী সদস্য পদ পেতে প্রতিবারই বাধ সেঁধেছে চিন। এদিকে বর্তমানে চিন, ফ্রান্স, রাশিয়া, ব্রিটেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই বর্তমানে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। এদিকে এই তালিকায় ঢোকার জন্য ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সরব ভারত।

ঠিক কী ধরণের পরিকাঠামোগত বদল চাইছে ভারত ?
অন্যদিকে এই পাঁচ রাজ্য ছাড়াও আরও দশটি দেশ রয়েছে অস্থায়ী সদস্যের তালিকায়। এই তালিকায় রয়েছে বেলজিয়াম, , ডোমিনিকান রিপাবলিক, গিনি, জার্মানি, ইন্দোনেশিয়া, কুয়েত, পেরু, পোল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশগুলি।তাদের মেয়াদ দুবছরই।এই সময়ের পরেই নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসাবে তাদের সদস্যতা পুনর্নির্বাচিত হয় রাষ্ট্রপুঞ্জের নিয়ম মেনেই। বর্তমানে এই পরিকাঠামোরই বদল চাইছে ভারত, ব্রাজিল জাপানের মতো দেশগুলি।

ভারতকে ঠেকাতে একাধিক ছক কষছে বেজিং
এদিক রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যতা ঠেকাতে শুরু থেকেই একাধিক ফন্দি এঁটে চলেছে বেজিং। যদিও জনসংখ্যার নিরিখে বিশ্বের বৃহত্তম দেশ হওয়া সত্ত্বেও ভারত কেন স্থায়ী সদস্যপদ পাবেনা সেই বিষয়ে সাম্প্রতিক সম্মেলনেই জরালো সওয়াল করেন রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টি এস তিরুমূর্তি। এমনকী রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ‘ঠুঁটো জগন্নাথ' বলেও রীতিমতো তোপ দাগেন তিনি।

আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা নিয়ে প্রশ্ন চিনের
এদিকে ভারত সহ একাধিক রাষ্ট্র সংষ্কারের কথা বলেলেও এর আগে একাধিকবার চিনের সঙ্গে গলা মিলিয়ে উল্টো সুরে গান গাইতে দেখা গেছে আমেরিকা, রাশিয়াকে। এমনকী সদস্যপদ প্রদানের ক্ষেত্রে ভোটাধিকারে রদবদলের বা বলা ভালো সংষ্কারে যে প্রস্তাব ভারত এনেছিল তা অতীতেই নাকজ করে দেয় আমেরিকা। সেই ক্ষেত্রে আবার স্থায়ী সদস্যপদের সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা-সহ রাষ্ট্রপুঞ্জের অন্যান্য লক্ষ্যের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দেশগুলির আগ্রহ এবং সক্ষমতার কথা মাথায় রাখার কথা বলে চিন। এমনকী পাকিস্তানের প্রসঙ্গ তুলে এনএসজি চুক্তিকেও এই ক্ষেত্রে ঢাল করতে চাইছে বেজিং।
কাশ্মীরে ভোচটের আগে পাকিস্তানের কোন গোপন সন্ত্রাস ছক তৈরি হচ্ছে! গোয়েন্দা সূত্রে বড় তথ্য ফাঁস