শুরুতেই ধাক্কা খেলেন নীতীশ, শপথ গ্রহণের তিনদিনের মাথায় বিহারে পদত্যাগ জেডিইউ মন্ত্রীর!
শপথ নেওয়ার পরই শিরোনামে স্থান করে নিয়েছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় হয়েছিলেন ট্রোল। আর এবার শপথগ্রহণের তিনদিনের মাথায় পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন বিহারের শিক্ষামন্ত্রী মেওয়ালাল চৌধুরী। যদিও জেডিইউর বিধায়ক মেওয়ালাল চৌধুরীকে সরে যেতে হল আরজেডির আনা এক দুর্নীতির অভিযোগের চাপে।

কেন পদত্যাগ করলেন নীতীশের মন্ত্রিসভা সদস্য?
জেডিইউর বিধায়ক মেওয়ালাল চৌধুরী তারাপুর থেকে বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিন হয়েছেন। তবে তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে ৭ বছর পুরোনো একটি ফৌজদারি মামলা। সেই মামলায় এখনও বেকসুর খালাস পাননি মেওয়ালাল। তাই তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পরই দুর্নীতি নিয়ে সরব হয় আরজেডি। এরপরই বাধ্য হয়ে পদত্যাগ করতে হয় মেওয়ালালের।

বিহারের আটজন মন্ত্রী ফৌজদারি মামলায় বিচারাধীন
এদিকে শুধু মেওয়ালাল নন, সদ্য শপথ নেওয়া বিহারের আটজন মন্ত্রী ফৌজদারি মামলায় বিচারাধীন। ওই আটজন মন্ত্রী শপথপত্রে নিজেদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা থাকার ঘোষণা করেছেন। জানিয়েছে বিহার ইলেকশন ওয়াচ এবং অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস।

হলফনামার বিশ্লেষণের ভিত্তিতে মিলেছে তথ্য
জানা গিয়েছে, যে ১৪ জন মন্ত্রীর হলফনামা বিশ্লেষণ করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ছয়জন (৪৩ শতাংশ) নিজের বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধমূলক মামলা থাকার কথা জানিয়েছেন। এর মধ্যে বিজেপির দু'জন, জেডিইউ-এর দুজন এবং একজন করে হ্যাম এবং ভিআইপি-র। নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা জানিয়েছেন, অক্টোবর-নভেম্বরের বিধানসভা নির্বাচনের আগে জমা দেওয়া ১৪ মন্ত্রীর শপথ গ্রহণের হলফনামার বিশ্লেষণের ভিত্তিতে এই সন্ধান মিলেছে।

দূর্নীতির দায়ে জর্জরিত এনডিএ
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এই ১৪ জন মন্ত্রী এনডিএর অংশীদার। জনতা দল ইউনাইটেড, বিজেপি, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতন রাম মাঁঝির হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা এবং বলিউডের সেট ডিজাইনার মুকেশ সাহানির বিকাশিল ইনসান পার্টি। দু'জন জেডিইউ, বিজেপির চারজন এবং একজন করে হ্যাম এবং ভিআইপির।
এখনও বাংলার একশো শতাংশ বুথে পৌঁছতে পারেনি বিজেপি, ২১-এর ভোটের আগে স্বীকার দিলীপ ঘোষের