লাদাখে বিশ্বাসঘাতকতা ড্রাগন বাহিনীর, আকসাই চিন জুড়ে ফের সেনা বৃদ্ধি বেজিংয়ের!
'বিশ্বাসঘাতকতা' শব্দটির সমার্থক হয়ে গিয়েছে চিন। মুখে শান্তির বার্তা দিয়ে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে ভারতের সঙ্গে সহমত পোষণ করলেও ফের পুরোনো পথে হাঁটতে শুরু করল বেজিং। জানা গিয়েছে বিগত ৩০ দিন ধরেই আকসাই চিনের বিভিন্ন স্থানে নতুন করে সেনা বাড়িয়েছে পিএলএ। এবং এর জেরে ফের লাদাখের চলমান সংঘাত আরও দীর্ঘায়িত হওয়ার ইঙ্গিত মিলল বেজিংয়ের তরফে।

শীঘ্রই নবম দফার বৈঠকে বসবে ভারত-চিন
খুব শীঘ্রই ভারত-চিনের তরফে সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে আলোচনাল লক্ষ্যে বসতে চলেছে নবম দফার সেনা পর্যায়ের বৈঠক। এরই মধ্যে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছে আকসাই চিনে বেজিংয়ের সেনা বৃদ্ধির এই চাল। ভারতের আশঙ্কা, প্যাংগং থেকে যদি সেনা প্রত্যাহার করা হয়, সেক্ষেত্রে চিন শীতকালে আক্রমণ করতে পারে ভারতে।

নতুন ডাগআউট তৈরি করছে চিনা সেনা
সেনার শীর্ষ স্থানীয় আধিকারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, চিনের সেনা সমর লুংপাতে অন্তত ১০টি নতুন ডাগআউট তৈরি করছে। সম্প্রতি প্যাংগং হ্রদের ফিঙ্গার ৪ থেকে চিনের সেনা প্রত্যাহার নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়েছিল। তবে চিন যে লাদাখ সীমান্তে পিছু হটতে তৈরি নয়, তা একপ্রকার স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে নয়া এই রিপোর্টে।

সীমান্তের খুব কাছেই সেনা বাড়াচ্ছে চিন
জানা গিয়েছে কারাকোরাম পাসের ৩০ কিলোমিটার পূর্বে এবং মাজুম পর্বতের দক্ষিণে অবস্থিত রেচিন লাতে নতুন ডাগআউট তৈরি করছে চিন। এছাড়া দৌলত বেগ ওলডি থেকে মাত্র ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কিজিল জিলগাতে সেনা জওয়ান বাড়াচ্ছে চিন। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় সেনার একাংশের মত, শীতের লাদাখে সংঘাত বাড়তে পারে সীমান্তে।

চুশুলের কাছে চিনের ভারী বাহন
এদিকে স্প্যানগুর গ্যাপে চিনা সেনার ৬০টি ভারী বাহন আসতে দেখা গিয়েছে শেনডং থেকে। উল্লেখ্য, স্প্যানগুর গ্যাপ এলাকা চুশুলের খুবই কাছে। সেখানেই ভারত ও চিনের মধ্যকার সেনা পর্যায়ের বৈঠকগুলি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এদিকে ডেপসাঙেও সেনা বাড়াচ্ছে চিন। এমনকী দৌলত বেগ ওলডির কাছেই সীমান্তের নিকটে দ্রুত গতিতে তৈরি হচ্ছে রাস্তা।

চিনা সেনার শীতকালীন তৎপরতা
এদিকে শীতের প্রকোপ থেকে চিনা সেনাদের রক্ষা করতে বিশেষ কনটেইনার আনা হয়েছে লাদাখের সীমান্ত জুড়ে। স্যামজাংলিংয়ের পশ্চিমে অবস্থিত জীবন নালাতে অন্তত পক্ষ ২৮৫টি কনটেইনার দেখা গিয়েছে যেখানে চিনা সেনারা থাকছেন। এদিকে সীমান্ত লাগোয়া চুমর এলাকায় অবস্থিত শিকাউনহি টাউনকে পুরোপুরি অধীনে নিয়ে নিয়েছে চিনা সেনা। শীতকালীন যুদ্ধের জন্য সেখানে সরঞ্জাম মজুত করা হচ্ছে।
সৌগত-সুদীপের প্রচেষ্টায় শুভেন্দুর মানভঞ্জন? নজর রামনগরের 'মেগা শো'-এর দিকে