এখনও বাংলার একশো শতাংশ বুথে পৌঁছতে পারেনি বিজেপি, ২১-এর ভোটের আগে স্বীকার দিলীপ ঘোষের
মিশন ২০২১। বাংলা জুড়ে এখন গেরুয়া ঝড়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিজেপি নেতারা। দিল্লি থেকে পঞ্চ পাণ্ডব নিযুক্ত করে বাংলা দখলের রূপরেখা তৈরি হচ্ছে। মাসে মাসে অমিত শাহ এবং জেপি নাড্ডার বাংলা সফরে আসার কথা জানিয়ে রাজনৈতিক ময়দান গরম করেছেন দিলীপ ঘোষ। এরই মাঝে রাজ্যে বিজেপির বিস্তার নিয়ে ইতিবাচক বার্তা দিলেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

এই বার বাংলা, পারলে সামলা
বর্তমানে বাংলা জয়ের লক্ষ্যে বিজেপির স্লোগান, 'এই বার বাংলা, পারলে সামলা।' কতকটা সেই ভঙ্গিমাতেই দফায় দফায় রাজ্য সফরে আসতে চলেছেন অমিত শাহ। যেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে তাঁর চ্যালেঞ্জ, পারলে সামলান। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসকে কতটা টেক্কা দিতে পারবে বিজেপি? তা নিয়েই মুখ খুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

বাংলায় বিজেপির উত্থান
২০১৪ লোকসভা নির্বাচনের সময় উত্থান শুরু হয়েছিল। তবে তখনও হয়ত তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ দেওয়ার জায়গায় ছিল না বিজেপি। খাতায় কলমে তখনও রাজ্যে বিরোধী বলে কংগ্রেস এবং বাম দলগুলির নাম উঠে আসত। তবে পাঁচ বছরের মধ্যেই চিত্রটা বদলে যায়। রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে তৃণমূলকে টক্কর দিয়ে ১৮টি জেতে বিজেপি। তবে লোকসভার সেই সাফল্য কী বিধানসভা নির্বাচনে ধরে রাখতে পারবে বিজেপি?

বাংলার ৮৩ শতাংশ বুথে রয়েছে বিজেপি
দিলীপ ঘোষ রাজ্যে বিজেপির শক্তি প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে বাংলার ৭৮ হাজার বুথের ৮৩ শতাংশ বুথেই বিজেপি এখন সদর্পে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তিনি জানান রাজ্যের ৬৮ হাজার বুথে বিজেপির অস্তিত্ব রয়েছে। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে আরও নেতাকে বিজেপিতে আহ্বান জানানোর ভঙ্গিতেই তিনি বলেন যে বিজেপিতে প্রচুর অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে।

শুভেন্দুকে বিজেপিতে আসান বার্তা
শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করে বিজেপিতে আসার বার্তা দিয়ে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, 'আমি তো সিলিন্ডার নিয়ে বসে আছি, যার কষ্ট হচ্ছে আসুন। সবাইকে দেব।' তাঁর কথায়, 'যারা যারা পশ্চিমবঙ্গের পরিবর্তন ও উন্নয়নের জন্য বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাতে চায় সবাইকে আহ্বান করা হচ্ছে। সবাই দেখেছে কংগ্রেস, সিপিএম, তৃণমূলের কাজ।'

মমতাকে আক্রমণ
তিনি আরও বলেন, ১০ বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় কিছুই দেননি। মিথ্যা কথা দিয়ে ভাষণ দিয়ে মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছেন। এখনও বিভিন্ন রকম প্রোজেক্টের মাধ্যমে লোককে খুশি রাখার চেষ্টা করছেন। তাঁর দলের লোকেরাই তাঁর উপর বিশ্বাস রাখতে পারছেন না।'

তৃণমূল দলটাই থাকবে না
তিনি আরও বলেন, '৮-১০ জন বিধায়ক ও অন্য নেতা প্রতিদিনই বিরূপ প্রতিক্রিয়া দিয়ে জানিয়ে দিচ্ছেন তাঁরা পার্টির সঙ্গে নেই। কেউ কেউ বলছেন পদত্যাগ করেছেন, কেউ আবার ভোটে দাঁড়াতে চাইছেন না। এর প্রমাণ হচ্ছে যে, টিএমসি দলটা আর থাকবে না। তৃণমূলের প্রতি বিশ্বাস চলে গিয়েছে সবার।'
লাদাখে বিশ্বাসঘাতকতা ড্রাগন বাহিনীর, আকসাই চিন জুড়ে ফের সেনা বৃদ্ধি বেজিংয়ের!