আমেরিকার হাত ধরে ভারতের অভ্যুত্থান ঠেকাতে নতুন ছক কষছে চিন
করোনাকালেই আরও মজবুত হয়েছে ভারত-আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক। অন্যদিকে ট্রাম্প বিদায়ের পর বাইডেন আগমণেও আন্তর্জাতিক স্তরে বেশিভাগ ক্ষেত্রে লাভের আশঙ্কা করছে ভারত। সে ভিসা নীতি হোক বা সামরিক সম্পর্ক লাভবান হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে ভারত আমেরিকা দু-দেশরই। আর আমেরিকার হাত ধরে ভারতের এই অভ্যুত্থানকে ভালো ভাবে নিচ্ছে না চিন।

এশিয়ার উপর থেকে ক্ষমতা হারাচ্ছে সুপারপাওয়ার আমেরিকা
অন্যদিকে ইতিমধ্যেই বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিক দেশ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে চিন। সামনে শুধুই আমেরিকা। এদিকে ভারতকে সঙ্গী করে দীর্ঘদিন থেকেই এশিয়ার উপ নিজেদের কর্তৃত্ব কায়েম করে রেখেছিল ‘সুপারপাওয়ার' আমেরিকা। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে দেখা যাচ্ছে এশিয়ার উপরে ধীরে ধীরে আধিপত্য হারাচ্ছে ওয়াশিংটন। আর তাই ভারতের সঙ্গে জোট বেঁধেই ফের হৃতগৌরব ফিরে পেতে চাইছে হোয়াইট হাউসের কূটনীতিরা।

ইন্দো-মার্কিন ‘মধুর’ সম্পর্ককে ভালো চোখে দেখছে না বেজিং
অন্যদিক সামরিক সাহায্য হোক বা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি , দুক্ষেত্রেই ভারত-আমেরিকার বন্ধুত্ব আরও গভীর হয়েছে। সহজ ভাবে বললে এশিয়ার সবথেকে শক্তিধর রাষ্ট্রকে বাগে আনতে আমেরিকাকে সাথে পেয়ে খানিক খুশিই ভারত, এমনটাই ধারণা আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলের। এদিকে করোনা সঙ্কটের জেরে বড়সড় ধাক্কা লেগেছে ভারতীয় অর্থনীতিতেও। বড়সড় পারাপতন দেখা গেছে জিডিপি প্রবৃদ্ধিতেও। যা থেকে গত কয়েকমাসে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে ভারত।

করোনায় কাবু আমেরিকা, সুযোগ ছাড়তে চাইছে না চিন
অন্যদিকে করোনায় কাবু মার্কিন অর্থনীতিও। থমকেছে অর্থনৈতিক শ্রীবৃদ্ধিও। তাই দুর্বল সময়ের সুযোগ নিয়েই দুই দেশকে আরও চাপের মুখে রাখতে চাইছে বেজিং। এদিকে0 বিশ্ব বাণিজ্যের নিরিখে আগে চিনের থেকে যে সমস্ত ক্ষেত্রে চিনের থেকে এগিয়ে ছিল ভারত সেই ক্ষেত্রগুলিও মন্দার ছাপ স্পষ্ট। এমতাবস্থায় ভারতে চাপে রাখতে কোনও সুয়োগই ছাড়তে চাইছে না বেজিং। কয়েকদিন আগেই ভারত থেকে রফতানি করা সামুদ্রিক মাঝের মাধ্যমে করোনা ছড়ানোর অভিযোগ এনেছিল বেজিং। আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের ভাবমূর্তিতে কালিমালিপ্ত করতেই এই নয়া পরিকল্পনা চিনের, এমনটাই ধারণা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

হাতিয়ার আসিয়ান জোটের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি
এদিকে শুধু ভারত নয়, আমেরিকা সাথে ভালো সম্পর্ক রয়েছে এমন প্রতিটা দেশের সঙ্গেই পায়ে পা লাগিয়ে তিক্ততা তৈরির রাস্তায় হাঁটছে বেজিং। চিনের নিশানায় রয়েছে জাপান, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশও। পাশাপাশি আসিয়ান গোষ্ঠীর হাত ধরে হওয়া বিশ্বের বৃহত্তম মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে নাক গলিয়ে রেখেছে চিন। রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ বা আরসিইপি চুক্তির হাত ধরে কী ভাবে আগামীতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের স্তারে ভারতের কোমর ভেঙে দেওয়া যায় সেই পরিকল্পনাও করছে বেজিং। অন্যদিকে আসিয়ান জোটের ১০টি প্রধান দেশ ছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়া, নিউজিল্যান্ডকেও কী ভাবে নিজেদের পক্ষে আনা যায় সেই ঘুঁটি সাজাচ্ছে চিনের কমিউনিস্ট পার্টি।
সিবিআই তদন্ত চলবে কার নজরদারিতে? হাথরাস কাণ্ডে বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের