আগামী ৩-৪ মাসে মধ্যেই হাতে এসে যাবে করোনা ভ্যাকসিন, আশার কথা শোনালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী
আর মাত্র ৩-৪ মাসের অপেক্ষা। তারপরেই ভারতের হাতে এসে যাবে করোনা ভ্যাকসিন। বৃহস্পতিবার এমনই দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। তার সঙ্গেই তিনি দাবি করেছেন ১৩৫ কোটি ভারতীয়র কাছে যাতে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া যায় সেটাই গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও এর আগে আইসিএমআরের ডিরেক্টর দাবি করেছিলেন ২০২২ সালের আগে ভারতের হাতে করোনা ভাইরাসে ভ্যাকসিন আসবে না।

কবে করোনা ভ্যাকসিন
করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন কবে হাতে আসবে তার দিকেই এখন তাকিয়ে রয়েছেন দেশবাসী। বৃহস্পতিবার ওয়েবনিয়ারের একটি আলোচনা সভায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন দাবি করেছেন, যে গতিতে গবেষণা এবং ক্নিনিকাল ট্রায়াল চলছে তাতে আগামী ৩-৪ মাসের মধ্যেই ভারতের হাতে করোনা ভ্যাকসিন চলে আসবে। তবে সবটাই বিজ্ঞানীদের তদারকিতে হবে।

ভ্যাকসিনে অগ্রাধিকার কাদের
করোনা ভ্যাকসিন ৩-৪ মাসের মধ্যে হাতে এলেও কাদের আগে দেওয়া হবে তার পরিকল্পনা সেরে ফেলেছে মোদী সরকারষ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছে গুরুত্ব হিসেবে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। সবার আগে ভ্যাকসিন পাবেন স্বাস্থ্যকর্মী, করোনা আক্রান্ত রোগীরা। তারপরে করোনা সেরে ওঠা রোগীরা। এর পরে প্রবীণ বয়স্কদের দেওয়া হবে ভ্যাকসিন। তার পরে পাবেন দুর্বল এবং রুগ্নরা। ১৩৫ কোটি ভারতীয়কে গুরুত্ব হিসেবে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।

ভ্যাকসিন গবেষণা কোন পথে
একাধিক করোনা ভাইরাসের ক্লিনিকাল ট্রায়াল চলছে ভারতে। অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিনের পাশাপাশি রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি ভ্যাকসিনেরও ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু হয়েছে দেশে। এছাড়াও দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়াল চলছে। এখনও পর্যন্ত কো ভ্যাকসিনে ক্লিনিকাল ট্রায়ালে কোনও সমস্যা দেখা যায়নি। অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের পর গলদ বেরিয়েছিল। সাময়িক ভাবে তার ট্রায়াল বন্ধ রাখা হয়েছিল। তারপরে ফের শুরু হয় ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়াল।

থার্ড ওয়েভে কাঁপছে রাজধানী
করোনা সংক্রমণের থার্ড ওয়েভ শুরু হয়ে গিয়েছে দেশে। রাজধানী দিল্লিতে নতুন করে লকডাউনের কথা ভাবা হচ্ছে। যদিও কেজরিওয়াল সরকারের পক্ষ থেকে গ্রিন সিগনাল মেলেনি। তবে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে মোটা টাকা জরিমানা ঘোষণা করা হয়েছে।