‘গো-মন্ত্রিসভা’ গঠনের পথে মধ্যপ্রদেশ, শিবরাজের নয়া সিদ্ধান্তে শোরগোল রাজনৈতিক মহলে
গো-রক্ষায় এবার পৃথক মন্ত্রিসভা গঠনের সিদ্ধান্ত নিল মধ্যপ্রদেশ সরকার। এদিন টুইটবার্তায় একথা জানান মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রি শিবরাজ সিং চৌহান। রাজ্যে গবাদি পশুদের সুরক্ষার স্বার্থেই আগামীতে এই গো-ক্যাবিনেট কাজ করবে বলেও জানান তিনি।

২২ নভেম্বর গোপাষ্টমীর দিনই প্রথম বৈঠক
অন্যদিকে পশুপালন, বন, পঞ্চায়েত ও গ্রামন্নোয়ন, রাজস্ব, স্বরাষ্ট্র ও কৃষক কল্যাণ বিভাগকেও এই ক্যাবিনেটের অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। আগামী ২২ নভেম্বর গোপাষ্টমীর দিন ১২টায় এই মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক হবে বলে জানা যাচ্ছে। আগর মালওয়ার গরু স্যাংচুারিতেই বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে খবর।

আলোচনা চলছিল ২০১৮ সাল থেকেই
এদিকে শিবরাজের এই নয়া সিদ্ধান্তে অবাক হয়েছেন অনেকেই। তবে বিজেপির গো-রাজনীতিকে ঢাল করেই আগামীতে আগামী মধ্যপ্রদেশে নিজের পায়ের তাল মাটি শক্ত করতে চাইছেন শিবরাজ সিং চৌহান। এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের। তবে গরু মন্ত্রিসভা গঠেনর ভাবনা অবশ্য নতুন নয়। এর আগে ২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশের গরু সংরক্ষণ বোর্ডের চেয়ারপার্সন স্বামী অখিলেশ্বরানন্দই প্রথম এই ধরণের মন্ত্রিসভা গঠনের প্রস্তাব দেন।

উচ্ছাসের সুর স্বামী অখিলেশ্বরানন্দের গলায়
এদিকে শিবরাজ সিং চৌহান এই সিদ্ধান্তের কথা জানার পরেই রীতিমতো উচ্ছাসের সুর শোনা যায় স্বামী অখিলেশ্বরানন্দের গলায়। তিনি বলেন, " এই কাজে মানুষের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। এই মন্ত্রি সভা গঠন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা পদক্ষেপ। মুখ্যমন্ত্রি নিজে একজন কৃষক পরিবারের সন্তান।তিনি যে কৃষকদের দুর্দশার কথা বুঝবেন এটা জানতাম।"

প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন দফতরকে কী কাজে লাগানো যেত না ?
যদিও অনেক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে সরকার যদি সঠিক ভাবে কাজ করার চেষ্টা করত তবে গো-রক্ষার জন্য প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন দফতরকেই সুন্দর ভাবে কাজে লাগানো যেত। কিন্তু তার জন্য আলাদা মন্ত্রিসভা গঠনের পিছনে রাজনীতির খেলা রয়েছে বলেই মত তাদের। তবে গোটা দেশের মধ্যে এই ধরনের উদ্যোগ মধ্যপ্রদেশের তরফে প্রথমবার করা হল।
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মরদেহ নিয়ে রাজনীতি করেছেন মমতা, অভিনেতার গল্ফ গ্রিনের বাড়িতে অধীর