করোনার মাঝেই বাড়ছে 'ছাপারে' ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব! দেহরসকে ঢাল করেই ছড়াচ্ছে সংক্রমণ, বাড়ছে আশঙ্কা
একে করোনায় ত্রস্ত গোটা বিশ্ব, তারই মধ্যে হানা দিচ্ছে 'ছাপারে' ভাইরাস! সোমবার মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রক ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি)-এর তরফে জানা গেছে, বলিভিয়া থেকে আগত 'ছাপারে হেমারেজিক ফিভার' বা সহজ কথায় ছাপারে ভাইরাস একজনের থেকে অপরের দেহে শুধুমাত্র দেহরসের মাধ্যেমেই সংক্রামিত হতে পারে। যার জেরে স্বাভাবতই আতঙ্কিত চিকিৎসক মহল।

করোনার মাঝে ইবোলার চোখরাঙানি
ইতিপূর্বে ২০০৪ সালে বলিভিয়ার পূর্ব লা পাজে অবস্থিত ছাপারে অঞ্চলে এই ভাইরাস প্রথম সংক্রমণ ঘটায়। এই ভাইরাস ইবোলার মত রোগ ডেকে আনতে সক্ষম বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা। সম্প্রতি আরও একাধিক গবেষণায় উঠে এসেছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গেছে, লা পাজে দুই রোগীর থেকে তিন স্বাস্থ্যকর্মীর মধ্যে সাম্প্রতিককালে এই ভাইরাস সংক্রামিত হয়েছে। এমনকী পরে এক রোগী ও দুই স্বাস্থ্যকর্মী মারা যান বলেও খবর।

তবে কি দেহরসের মাধ্যমে সংক্রমণ?
সিডিসি-এর মহামারী বিশেষজ্ঞ ক্যাটলিন কোষাবুম জানান বর্তমান সময়ে এক কমবয়সী স্বাস্থ্যকর্মী, অ্যাম্বুলেন্স কর্মী এবং এক অন্ত্রবিদ এক রোগীর সংস্পর্শে এসে আক্রান্ত হন। তিনি আরও জানান,"পরে দুই স্বাস্থ্যকর্মী মারা যান। আর এখানেই বাড়ছে আশঙ্কা। আমাদের গবেষণার প্রাথমিক ফলাফল বলছে যে দেহরসের মাধ্যমেই এই মারাত্মক রোগটি ছড়িয়েছে।"

কোভিডের মতো প্রাণঘাতী নয় ছাপারে
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, সম্ভবত ইঁদুর থেকে মানবদেহে ছড়িয়েছে ছাপারে! তবে কোভিডের মত অপ্রতিরোধ্য নয় ছাপারে, এমনটাই বলছেন তাঁরা। কোষাবুমের বক্তব্য,"ছাপারে সংক্রমণে বুক-পেট ব্যাথা, বমি, জ্বর, রক্তপাত, চর্মরোগ এবং অক্ষিগোলকে ব্যথার মত উপসর্গ চোখে পড়ছে। যেহেতু এই রোগের কোনো ওষুধ নেই, তাই শুধুমাত্র প্রাথমিক চিকিৎসাই সম্ভব।"

ডেঙ্গুর বেশে ছাপারে, শনাক্তকরণে সমস্যা
সিডিসির গবেষণাগারের কর্মী মারিয়া মোড়ালেস-বেতৌলি জানাচ্ছেন যে, বিজ্ঞানীরা কোনও পরিচিত ভাইরাস আশা করেছিলেন, কিন্তু ছাপারের অস্তিত্বে যথারীতি অবাকই হয়েছেন প্রত্যেকে। গবেষকদের মত, হয়তো বেশকিছু বছর ধরেই উপদ্রব করছে এই ছাপারে, কিন্তু উপসর্গের মিল থাকায় ডেঙ্গুর সাথে ছাপারেকে গুলিয়ে ফেলেছেন অধিকাংশই গবেষকই। এদিকে করোনার মাঝে যাতে ছাপারে মারাত্মক আকার ধারণ না করতে পারে, তার জন্য লাগাতার গবেষণায় মগ্ন বিজ্ঞানীরা।
কঠিন হতে চলেছে কমলা হ্যারিসের পথ চলা, শপথগ্রহণের আগেই হাতেনাতে মিলল প্রমাণ