ট্রাম্পের দোষেই জেহাদের পুনর্জন্ম কাশ্মীরে, পুরোনো আফগান 'বন্ধুদের' সাহায্য নিচ্ছে জইশ
নিজের শাসনকালের অন্তিম লগ্নে এসে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের বিষয়ে অতি তৎপর হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পষ এই সুযোগে কাশ্মীরে জেহাদের পুনর্জন্ম ঘটাতে পুরোনো আফগান 'বন্ধুদের' সাহায্য নিচ্ছে জইশ-ই-মহম্মদ। যা নিয়ে চিন্তিত ভারত সরকার। তালিবানদের নয়া কমান্ডর ইন চিফ মুল্লাহ মহম্মদ ইয়াকুব জইশকে সাহায্য করছে বলে জানা গিয়েছে।

ট্রাম্প আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করতে চান
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা সরিয়ে নেওয়ার চিন্তা ভাবনা করছেন। এখন আফগানিস্তানে মেরেকেটে ৪৫০০ মার্কিন সেনা রয়েছেন। সেই সংখ্যা ডিসেম্বরের মধ্যে ২৫০০-তে নামিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর ট্রাম্প। এমনকী পেন্টাগনের সঙ্গে সব সেনাকে দেশে ফেরানো নিয়েও নাকি আলোচনা সেরেছেন ট্রাম্প। এতেই শঙ্কা বেড়েছে।

মার্কিন সেনা প্রত্যাহার তালিবানদের সুবিধা করবে
মূলত মার্কিন সেনার জঙ্গি বিরোধী কার্যকলাপ এবং অভইযানের ফলেই আফগানিস্তানে তালিবান বাড়বাড়ন্ত দমিয়ে রাখা গিয়েছিল। তবে শান্তি প্রক্রিয়া শুরু হতেই মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এখনও শান্তি প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। আফগান সরকারের সঙ্গে তালিবানদের কথাবার্তা জারি রয়েছে। এরই মাঝে সেদেশ থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার তালিবানদের সুবিধা করে দেবে বলে বিশেজ্ঞদের মত।

জইশ-তালিবান যোগ
এদিকে মার্কিন সেনা কমতে থাকায় পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ ফের তাদের পুরোনো বন্ধু, তালিবানদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। কাশ্মীরে ফের জেহাদের বীজ বপণ করার লক্ষ্যে তালিবানি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ব্যবহার করছে জইশ জঙ্গিরা। এর জেরে কাশ্মীর ফের অদূর ভবিষ্যতে অশান্ত হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা
তালিবানরা মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চলাকালীন বলেছে যে মার্কিন বন্ধু এবং সরাসরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর হামলা করা থেকে আল কায়েদাকে বিরত থাকতে বলবে তারা। তবে জইশ-এর মতো জঙ্গি সংগঠন নিয়ে কোনও সুস্পষ্ট কথা তারা বলেনি। এই নিয়ে চিন্তিত ভারতীয় কূটনীতিবিদরা।

জঙ্গিদের জেহাদের পাঠ
জানা গিয়েছে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশ থেকে বহু যুবককে নিজেদের দলে টেনে নিয়েছে লস্কর-ই-তৈবা বা জইশ-ই-মহম্মদের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলি। এরপর তারা এদেরকে প্রশিক্ষণ নেওযার জন্যে পাঠিয়ে দিচ্ছে আফগানিস্তানে অবস্থিত তালিবানি কেন্দ্রগুলিতে। এছাড়া ভারত বিরোধী বিভিন্ন সমাবেশ হচ্ছে খাইবার পাখতুনওয়া প্রদেশের মসজিদগুলিতে। সেখানে জেহাদের পাঠ পড়ানো হচ্ছে এই জঙ্গিদের।

১০০০ পাকিস্তানি জঙ্গি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে আফগানিস্তানে
এদিকে পাকিস্তানি জঙ্গিদের যেমন ভাবে তালিবানরা সাহায্য করছে, তেমন ভাবেই আফগানিস্তানে অশান্তি ছড়াতে তালিবানদের সাহায্য করছে পাকিস্তানি জঙ্গি গোষ্ঠীর এই সন্ত্রাসীরা। এই বিষয়ে বারংবার সরব হয়েছেন আফগানিস্তানের হেলমন্দ প্রদেশের গভর্নর মহম্মদ ইয়াসিন খান। রাষ্ট্রসংঘের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, আফাগনিস্তানে তালিবানদের সঙ্গে প্রায় ১০০০ পাকিস্তানি জঙ্গি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।

ট্রাম্পের দোষে এই পরিস্থিতি?
বদলে তালিবানরা কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর জঙ্গি অনুপ্রবেশে মদত দেওয়ার লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে লস্কর এবং জইশ জঙ্গিদের। শুধু তাই নয়, অনুপ্রবেশের জন্য বিশেষ প্রযুক্তিগত যন্ত্রপাতিও জঙ্গিদের হাতে তুলে দিচ্ছে তালিবানরা। এসবের জেরে দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে। এবং বিশেষজ্ঞদের মত, ট্রাম্পের হঠকারী সিদ্ধান্তের জেরেই এই পরিস্থিতি উপনীত হয়েছে।

আল কায়েদার বাড়বাড়ন্ত
এদিকে গোয়েন্দাদের সন্দেহ, নব নিযুক্ত তালিবান প্রধান ইয়াকুবের সঙ্গে জঙ্গি নেতা মাসুদ আজহারের যোগ স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। এদিকে ভারতে বেড়ে চলা আল কায়েদা কার্যকলাপের পিছনেও এই যোগ রয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান ভারতীয় গোয়েন্দাদের।
মার্কিন গণতন্ত্রের উপর বিশাল প্রশ্নচিহ্ন, একনায়কতন্ত্রের পথে হাঁটা লাগিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প?