বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, বিয়েতে তাই ৫০ জন অতিথি, সিদ্ধান্ত দিল্লি সরকারের
দিল্লিতে ক্রমেই করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা নিয়ে বেশ চিন্তায় রয়েছে সরকার। সে কারণে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে রাজধানীতে হওয়া যে কোনও বিয়ের অনুষ্ঠানে অতিথি সংখ্যা ২০০ জনের বদলে ৫০ জন করা হবে। সরকারের এই সিদ্ধান্তে বুধবার অনুমোদন দিয়েছেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গর্ভনর অনিল বৈজল। রাজধানীতে বাড়তে থাকা করোনা ভাইরাস সংক্রমণের জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

৫০ জন অতিথি বিয়েতে আসতে পারবেন
বিয়েতে ২০০ জন অতিথির সিদ্ধান্তকে সংশোধন করার পরই রাজধানীর গর্ভনর তাতে অনুমোদন দেন। এছাড়াও কোভিড-১৯ প্রকোপ দিল্লিতে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার জন্য সরকার প্রত্যেকটি ব্যস্ত বাজার বন্ধ করে দেওয়ার প্রস্তাব রেখেছে। মঙ্গলবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ঘোষণা করে জানিয়েছেন যে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে বিয়ের অনুষ্ঠানে ২০০ জন অতিথির বদলে তা ৫০ জন অতিথিকে পরিণত করা হবে। এখন দিল্লির বিয়েতে ৫০ জন অতিথি আসতে পারবেন।

২০০ জন অতিথি করা হয়েছিল আগে
এই সিদ্ধান্ত নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে কেজরিওয়াল বলেন, ‘কিছু সপ্তাহ আগে যখন করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল দিল্লিতে, সেই সময় কেন্দ্রের নির্দেশিকা অনুসারে বিয়েতে অতিথি সংখ্যা বাড়িয়ে ২০০ করা হয়। এখন সেই সিদ্ধান্ত তুলে নেওয়া হয়েছে এবং মাত্র ৫০ জন অতিথি বিয়েতে অংশ নিতে পারবে। গর্ভনরের কাছে এটি অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে।'

ব্যস্ত মার্কেট বন্ধ করার প্রস্তাব
সাংবাদিক সম্মেলনে কেজরিওয়াল জানিয়েছেন যে কোভিড-১৯ সুরক্ষা বিধি লঙ্ঘন হওয়ার দরুণ দিল্লির ব্যস্ততম মার্কেটগুলিকে সিল করে দেওয়ার আলাদা প্রস্তাবও পাঠানো হয়েছে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, ‘দিল্লিতে করোনা কেসের বৃদ্ধি দেখে আমরা কেন্দ্রের কাছে কিছু সাধারণ প্রস্তাব রেখেছি, যদি প্রয়োজন হয়, দিল্লি সরকার কিছুদিনের জন্য কিছু মার্কেট বন্ধ করে রাখবে, যেখানে নিয়ম পালন করা হচ্ছে না এবং এগুলি পরে স্থানীয় কোভিড হটস্পটে পরিণত হতে পারে।' দিল্লির আইসিইউ বেড প্রসঙ্গে কেজরিওয়াল জানিয়েছেন যে বেসরকারি ও সরকারি হাসপাতালে পর্যাপ্ত বেড রয়েছে, কিন্তু আইসিইউ বেডের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কেন্দ্র এ বিষয়ে আমাদের সাহায্য করবে বলে জানিয়েছে।

উৎসব মরশুমে বৃদ্ধি সংক্রমণ
কিছু মাস যাবৎ দিল্লিতে ফের তীব্রভাবে কোভিড-১৯ মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে। বিশেষ করে উৎসবের মরশুমে। উৎসবের পর জাতীয় রাজধানীতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ছে। অক্টোবর মাস থেকেই এই বৃদ্ধি শুরু হয়। তবে এতকিছুর পরও লকডাউনের পথে হাঁটতে নারাজ দিল্লি সরকার।
লাদাখে শান্তি ফিরিয়ে আনতে চূড়ান্ত পর্যায়ের বৈঠকে ফোকাস দিল্লির! কাউন্টডাউন শুরু