কঠিন হতে চলেছে কমলা হ্যারিসের পথ চলা, শপথগ্রহণের আগেই হাতেনাতে মিলল প্রমাণ
কমলা হ্যারিসকে নিয়ে অরুচিকর পোস্ট ফেসবুকে। টনক নড়তেই সেসব পোস্ট সরিয়ে দিল ফেসবুক। জানা গিয়েছে ফেসবুককে এই নিয়ে অবগত করে বির্টিশ সংবাদসংস্থা বিবিসি। ফেসবুককে তারা জানায় যে, ফেসবুকের তিনটি গ্রুপ ক্রমাগত কমলা হ্যারিসের বিরুদ্ধে ঘৃণাসূচক এবং বর্ণবাদী পোস্ট করে চলেছে। এরপরেই সেসব পোস্ট সরায় ফেসবুক।

ইতিহাস গড়েছেন কমলা হ্যারিস
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জো বাইডেনের জয় সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাস গড়েছিলেন কমলা হ্যারিস। প্রথম এশিয়ান-আমেরিকান এবং আফ্রিকান-আমেরিকান হিসাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপরাষ্ট্রপতি পদে বসার বিষয়ে সুনিশ্চিত হন কমলা। তবে নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্পের থেকে প্রচুর অপমানমূলক বক্তব্য সহ্য করতে হয়েছে তাঁকে। মার্কিন কট্টরপন্থীরাও যে কমলাকে সহজে মেনে নেবেন না, তা একপ্রকার ওপেন সিক্রেট।

কমলা হ্যারিসকে নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট
জানা গিয়েছে যেই গ্রুপগুলিতে কমলা হ্যারিসকে নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট করা হচ্ছিল, তার একটিতে ৪ হাজার সদস্য ছিলেন। অপর গ্রুপে ছিলেন ১ হাজার ২০০ সদস্য। তবে সেই গ্রুপগুলিকে ফেসবুক বন্ধ করেনি। শুধু পোস্টগুলো সরিয়েই দায়িত্ব খালাস করেছে সংস্থাটি।

কী লেখা হয়েছিল কমলা হ্যারিসের বিরুদ্ধে?
কী লেখা হয়েছিল কমলা হ্যারিসের বিরুদ্ধে সেই পোস্টগুলিতে? নির্বাচনী প্রচারের সময় ট্রাম্প যে ভাষায় কমলা হ্যারিসের নাগরিকত্ব এবং নির্বাচনে লড়াই করার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেম, সেই সুরেই এই ফেসবুক পোস্টগুলি কমলা হ্যারিসের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে দাবি করে যে তিনি আদতে জামাইকান-আমেরিকারন। তাই তিনি নাকি বৈধ মার্কিন নাগরিক নন।

আমেরিকায় বর্ণবিদ্বেষ বিরোধী লড়াইয়ের অন্যতম মুখ কমলা
উল্লেখ্য, আমেরিকায় বর্ণবিদ্বেষ বিরোধী লড়াইয়ের অন্যতম মুখ কমলা হ্যারিস৷ তাঁকে বারবার দেখা গিয়েছে আমেরিকার রাস্তায় কৃষ্ণাঙ্গদের অধিকারের দাবি নিয়ে সরব হতে৷ আজ তিনি আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট৷ প্রথম কোনও মহিলা ও অশ্বেতাঙ্গ, এশীয়-আমেরিকান হিসেবে যিনি এই পদে নির্বাচিত হলেন। তবুও তাঁকে নিয়ে এহেন পোস্ট হচ্ছে, যা গণতন্ত্রের জন্যে খুবই ক্ষতিকারক একটি ইঙ্গিত।

কমলা হ্যারিসের মা-বাবা অভইবাসী ছিলেন
৫৬ বছর বয়সি কমলা হ্যারিসের জন্ম ক্যালিফোর্নিয়ায়। তাঁর বাবা ডোনাল্ড হ্যারিস এবং মা শ্যামলা গোপালন দুই জনেই ছিলেন অভিবাসী। স্নাতক স্তরের পড়াশোনার পাশাপাশি সেখানে নাগরিকদের অধিকার সংক্রান্ত আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ও শ্যামলা। ডোনাল্ড হ্যারিস এসেছিলেন জামাইকা থেকে। ২০১৬ সালে প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে যোগ দেওয়া কমলা মার্কিন সমাজে বদল আনতে চান। বর্ণবিদ্বেষ মুছে ফেলতে চান। তবে এর জন্য অনেক বাধা পার করতে হবে তাঁকে।
মার্কিন গণতন্ত্রের উপর বিশাল প্রশ্নচিহ্ন, একনায়কতন্ত্রের পথে হাঁটা লাগিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প?