করোনার বিরুদ্ধে এই ভ্যাকসিন ৯৫ শতাংশ কার্যকর, দাবি ফাইজারের
বায়োটেক সংস্থার ফাইজার বুধবার দাবি করে জানিয়েছে যে কোভিড–১৯ ভ্যাকসিনের সম্পূর্ণ পরীক্ষামূলক গবেষণা প্রমাণ করেছে যে এটি ৯৫ শতাংশ কার্যকর। ফাইজার এও জানায় যে এই ভ্যাকসিনের কোনও গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই এবং সংস্থা আর কিছুদিনের মধ্যেই এই ভ্যাকসিনের জরুরি ব্যবহারের জন্য মার্কিন নিয়ন্ত্রকদের কাছে আবেদন করবে।
ফাইজারের সিইও অ্যালবার্ট বুরলা বলেন, 'এই পরীক্ষা আট মাসের এই ঐতিহাসিক সফরকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসাবে চিহ্নিত করেছে এবং এটি এই বিধ্বংসী মহামারিকে শেষ করার জন্য সহায়তা করতে সক্ষম।’


সাতদিনের মধ্যে রোগীদের প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠেছে
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই সংস্থার পক্ষ থেকে ঘোষণা করে বলা হয়েছিল যে বায়োএনটেকের সঙ্গে যৌথভাবে উৎপন্ন এই ভ্যাকসিন কোভিড-১৯ প্রতিরোধ করতে ৯০ শতাংশ কার্যকর, সেই সময় এই ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছিল। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, এই ভ্যাকসিনের দু'টি ডোজের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ (প্রথম ডোজ দেওয়ার ২৮দিন পর) দেওয়ার সাতদিনের মাথায় রোগীদের মধ্যে প্রতিরোধ ক্ষমতা দেখা গিয়েছে। গত সপ্তাহে সিইও বলেন, ‘কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ট্রায়ালের প্রথম ফলাফলের প্রাথমিক প্রমাণে দেখা গিয়েছে যে আমাদের ভ্যাকসিন কোভিড-১৯ প্রতিরোধ করতে সক্ষম।' তিনি এও বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী এই স্বাস্থ্য সঙ্কটের অবসান ঘটাতে সাহায়। করার জন্য আমরা বিশ্বজুড়ে একটি প্রয়োজনীয় সাফল্য অর্জনের এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আমরা আমাদের ভ্যাকসিন বিকাশের এমন এক পর্যায়ে রয়েছি যখন এই বিশ্বের সবচেয়ে প্রয়োজন এখন এটি।'

মডেল হিসাবে কাজ করবে
ফাইজার ইতিমধ্যে চারটে মার্কিন রাজ্যে এই পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিনের পাইলট ডেলিভারি প্রোগাম করছে। এই ভ্যাকসিন অন্য দেশে পাঠাতে হলে তা ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করে রাখতে হবে, উল্লেখযোগ্যভাবে ভ্যাকসিনগুলি ১-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে থাকে। সোমবার ফাইজারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘আমরা আশাবাদী যে এই ভ্যাকসিন ডেলিভারি পাইলট থেকে প্রাপ্ত ফলাফলগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য রাজ্য এবং আন্তর্জাতিক সরকারগুলির জন্য মডেল হিসাবে কাজ করবে, কারণ তারা কার্যকর কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রোগ্রাম বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুত।'

আমেরিকার চারটে রাজ্যে ফাইজারের পরীক্ষা
পাইলট প্রোগ্রামের জন্য রোদে আইল্যান্ড, টেক্সাস, নিউ মেক্সিকো ও টেনাসিকে বেছে নেওয়া হয়েছে, কারণ এই চারটে রাজ্যের আকৃতি, জনসংখ্যার পার্থক্য, পরিকাঠামো এবং গ্রাম ও শহরে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার পরিকাঠামো পর্যবেক্ষণের জন্য। ফাইজার জানায় যে এই চার রাজ্য আগে কোনওদিন কোনও ভ্যাকসিন ডৌজ নেয়নি।

ভ্যাকসিন ডোজ সরবরাহ
বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার যখন উচ্চ হারে বাড়ছে, আইসিইউ বেড ভর্তি হয়ে গিয়েছে এবং মৃত্যু মিছিল বিশ্বজুড়ে, তখন ফাইজার তাদের ভ্যাকসিন জোড সরবরাহ নিয়ে জানিয়েছে যে বিশ্বজুড়ে এ বছর তারা ৫ কোটি ডোজ সরবরাহ করবে এবং ২০২১ সালে ১.৩ বিলিয়নের বেশি ডোজ সরবরাহ করবে বলে জানিয়েছে।
পঞ্চায়েত ভোটের আগেই সুখবর, মমতার বাংলাকে সেরার 'পুরস্কার’ দিল মোদী সরকার