২০২১-এর নির্বাচনকে মাথায় রেখে মমতার হয়ে 'উন্নয়নের ঘুঁটি' সাজাচ্ছেন রাজীব সিনহা
শিল্পপতিদের হাতে দ্রুত জমি তুলে দিতে নতুন পদক্ষেপ করল রাজ্য সরকার৷ সিঙ্গল উইন্ডো সিস্টেমের মাধ্যমে এবার তাদের হাতে জমি তুলে দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সব ধরনের শিল্পের জন্য এক জায়গা থেকে জমি দেবে রাজ্য সরকার৷ ফলে জমি হাতে পেতে শিল্পপতিদের বেশি সময় লাগবে না বলে মনে করা হচ্ছে৷

জমি নিয়ে বড় সমস্যায় পড়তে হয় শিল্পপতিদের
যে কোনও শিল্প গড়ার জন্য জমি নিয়ে বড় সমস্যায় পড়তে হয় শিল্পপতিদের৷ জমি হাতে পাওয়া বেশ সময়সাপেক্ষ হয়ে যাচ্ছিল৷ যা নিয়ে জমা পড়ছিল একাধিক অভিযোগও৷ এবার শিল্প স্থাপনের জন্য জমি দেওয়ার বিষয়টি সরলীকরণ করল রাজ্য সরকার৷ বিশেষজ্ঞদের মত, বিজেপির গুজরাত মডেল বা উন্নয়ন নিয়ে সরব হওয়ায় চাপে পড়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তাই তড়ঘড়ি এই পদক্ষেপ।

কেন পদক্ষেপ করল রাজ্য সরকার?
এতদিন বড় শিল্প গড়তে জমির জন্য ওয়োস্ট বেঙ্গল স্মল ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনে-তে আবেদন করতে হত৷ আবার শিল্পের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য আবেদন করতে হত ওয়োস্ট বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনফ্রাস্ট্রাকচারাল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনে-এর কাছে৷ ফলে প্রক্রিয়াটি সময়সাপেক্ষ হয়ে পড়ত৷ এবার সেই বিষয়টি মাথায় রেখে এই পদক্ষেপ করল রাজ্য সরকার৷

কী বলেন রাজীব সিনহা
এবিষয়ে রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান রাজীব সিনহা বলেন, 'আর শিল্পপতিদের জমি পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে না। নতুন নিয়মে দ্রুত জমি হাতে পাবেন শিল্পপতিরা৷ ফলে দ্রুত কাজ শুরু করতে পারবেন তাঁরা। উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্য সচিব রাজীব সিনহাকে সেপ্টেম্বরের শেষ লগ্নেই ওয়োস্ট বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত করা হয়েছিল।

মমতার ভরসা
রাজ্যে নির্বাচনের বাকি আর মাত্র কয়েক মাস। এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক ভাবে কিছুটা চাপেই রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য প্রশাসন সামলানোর জন্যে মমতার ভরসা একদল অবসরপ্রাপ্ত আমলা। বকলমে তাঁরাই এখন রাজ্য চালাচ্ছেন। তাঁদেরই মধ্যে অন্যতম হলেন রাজীব সিনহা।

অবসর নেওয়ার পরই রাজ্যের শিল্পোন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান
মুখ্য সচিব হিসাবে নিজের শেষ কর্মদিবসে রাজীব সিনহা রসিকতা করে বলেছিলেন, তাঁকে কেউ চেয়ার ছাড়া করতে পারবে না। এই মন্তব্যের পরে অনেকের মধ্যে কৌতুহল তৈরি হয়। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত, খুব জেনে বুঝেই এই ইঙ্গিতবহ মন্তব্য করেছিলেন রাজীব সিনহা। মুখ্য সচিবের দায়িত্ব থেকে অবসর নেওয়ার পরই রাজ্যের শিল্পোন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দেন তিনি।

সিঙ্গল উইন্ডো সিস্টেমের ফলে কী হবে?
এদিকে জানা গিয়েছে, শিল্প গড়ার জন্য মোট ৪ হাজার ৬৩০ একর জমি রয়েছে রাজ্যের কাছে। এরমধ্যে সবথেকে বেশি রয়েছে পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে। সেখানে মোট জমির পরিমাণ ৩১৯৯ একর। সিঙ্গল উইন্ডো সিস্টেমের ফলে রাজ্যে দ্রুত শিল্পায়ন সম্ভব হবে বলে মনে করছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
শিখণ্ডী গান্ধী পরিবার! ফের ভাঙনের চৌকাঠে কংগ্রেস, অধীরের পরামর্শে নয়া ঝড়ের আশঙ্কা