তৃণমূলের একের বিরুদ্ধে বিজেপির পাঁচ, বাংলায় একুশের লড়াই এবার বহিরাগতদের
তৃণমূলের প্রশান্ত কিশোরকে মাত দিতে বিজেপি পাঁচ নেতাকে নিয়ে এল ভিন রাজ্য থেকে। তাঁদেরকে পাঁচটি জোনে ভাগ করে বিজেপি বাংলায় একুশের যুদ্ধে সামিল হবে। অর্থাৎ এবার লড়াই তৃণমূলের একের বিরুদ্ধে বিজেপির পাঁচের। আর পুরো লড়াইটা হবে বহিরাগতদের মধ্যে। বাংলার ভোট-যুদ্ধে লড়াই হবে ভিনরাজ্য থেকে আসা কৌশলবিদদের মধ্যে!

প্রশান্ত কিশোরের ভার্চুয়াল প্রচারকে চ্যালেঞ্জ দিতে
বিহারের ভোট মিটতেই বহিরাগত নেতাদের এনে ভিড় করছে বিজেপি। পাঁচজনকে রাজ্যের পাঁচটি জোনে ভাগ করা ছাড়াও বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যকে বিজেপি বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে বাংলায় এনেছে প্রশান্ত কিশোরের ভার্চুয়াল প্রচারকে চ্যালেঞ্জ দিতে। এভাবেই বাংলার বাইরে থেকে নেতাদের নিয়ে এসে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামছে।

ভিনরাজ্য থেকে প্রচার কৌশলীরা আসবেন বাংলায় ভোটে
স্বাভাবিকভাবেই অভিযোগ উঠেছে, বাংলায় কি তবে বিজেপির কোনও নেতা নেই। সব বহিরাগতদের নিয়ে এসে বাংলার ভোট জিততে হবে! এর পাল্টা বিজেপির বার্তা, আমরা সর্বভারতীয় দল। প্রত্যেক রাজ্যের ভোটের সময় ভিনরাজ্য থেকে প্রচার কৌশলীরা আসেন। এটাও তেমন একটা ব্যাপার। আমরা তো আর কাউকে টাকা দিয়ে ভাড়া করে আনিনি।

বাংলার বাইরের লোকেরা ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে
বিজেপির পরোক্ষ ইঙ্গিত প্রশান্ত কিশোর ও তাঁর সংস্থার দিকে। তৃণমূল যে টাকা দিয়ে পিকে-কে এনেছিল বাংলার ভোট কৌশ নির্ধারণ করতে, সেই খোঁচাই দিল বিজেপি। সে যাই হোক, এবার বাংলার বাইরের লোকেরা ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচন জিততে ঝাঁপাবে। বাংলাকে পাখির চোখ করতে বিজেপি একেবারে বিশাল টিম তুলে নিয়ে চলে এসেছে এবার।

ভার্চুয়াল প্রচার বেশি ভাইটাল, লড়াই ভিনরাজ্যের কৌশলীদের
বিজেপি পাঁচ কেন্দ্রীয় নেতাকে দায়িত্ব দিয়েছে বাংলাকে মমতা-মুক্ত করতে। যেখানে তৃণমূল সুপ্রিমো তখল বাঁচাতে প্রশান্ত কিশোরকে এনেছেন। এবার ভোট যেহেতু ভার্তুয়াল প্রচারের উপর হবে, তাই তাঁদের ভূমিকা অনেক বেশি হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়দের নির্বাচনী জনসভা থেকে ভার্চুয়াল প্রচার অনেক বেশি ভাইটাল। তাই লড়াই এবার ভিনরাজ্যের কৌশলীদের মধ্যে।

মমতার বিকল্প নেই, ভরসাযোগ্য নেতার খোঁজে
তবে তৃণমূল খোঁচা দিয়েছে বিজেপিকে। তারা জানিয়েছে, এটা বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ। তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সৌগত রায় বিজেপির বাংলা দখলে পাঁচ কেন্দ্রীয় নেতার নিয়োগ প্রসঙ্গে বলেন, বিজেপি দিশেহারা হয়ে গিয়েছে। বাংলায় মমতার বিকল্প কোনও মুখ খুঁজে পাচ্ছে না। লড়াইয়ের জন্য কোনও ভরসাযোগ্য নেতাও খুঁজে পাচ্ছে না। তাই বাইরে থেকে নেতা আমদানি করছে। এতে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ পেয়েছে।

ভিনরাজ্য থেকে উড়ি্য়ে আনা হচ্ছে যেসব নেতাদের
অমিত মালব্য, বিএল সন্তোষ, সুনীল দেওধর থেকে শুরু করে হরিশ দ্বিবেদী, বিনোদ তাওড়ে, দুষ্মন্ত গৌতমদের এনেছে বিজেপি। তৃণমূল বলছে, কেন তাঁরা আসছেন, তা আর বুঝতে বাকি নেই। বাংলার মানুষ বুঝে গিয়েছে বাংলায় তাদের নেতা নেই। তাই ভিনরাজ্য থেকে উড়ি্য়ে আনা হচ্ছে নেতাদের। বিজেপি জানিয়েছে, বাংলা দখলে ৫০ জন কেন্দ্রীয় নেতা আসবেন।
একুশে জুলাই এবার বুথে বুথে, তবে মমতার বক্তব্যও পৌঁছে যাবে নেতা-কর্মীদের ঘরে ঘরে