বিজেপি জোটের ভাঙন এখন আরও এক রাজ্যে কউন্টডাউনের মধ্যে! উপনির্বাচন মিটতেই তোড়জোর বিপক্ষের
হরিয়ানায় বিধানসভা গঠনের সময় এক চরম ভোট অঙ্কে সরকার গড়ে বিজেপি জোট। সে রাজ্যে কংগ্রেস বিধানসভা ভোটে দ্বিতীয় স্থানে এলেও সরকার গঠন করতে পারেনি। তার নেপথ্যে রয়েছে কিং মেকার দুষ্মন্ত সিং চৌতালার জেজেপি। মাত্র ১০ টি আসন পেয়ে সেই সময় কিস্তিমাত করে তাঁর পার্টি। তবে মাস কয়েক পার হতেই বিজেপি জেজেপির 'হানিমুন' এর সময় কার্যত শেষের পথে বলে দাবি বিপক্ষ শিবিরের। প্রসঙ্গত, এর আগে মহারাষ্ট্রে বিধানসভা ভোটের পরই বিজেপির হাত ছাড়ে শিবসেনা। সরকার গঠনের আগে শিবসেনা সেখানে পদ্মক্যাম্প ছাড়তেই বিজেপি সরকার তৈরি করতে পারেনি। এরপর হরিয়ানা ঘিরে আশঙ্কা চড়ছে।

কাউন্টডাউন শুরু বিজেপির সংঘাত নিয়ে!
কংগ্রেসের তরফে এদিন দাবি করা হয় হরিয়ানায় সরকারে থেকে বিজেপির সঙ্গে কার্যত সংঘাতের রাস্তায় চৌতালা শিবিরের জেজেপি। কংগ্রেসের রাজ্যসভা সাংসদ দীপেন্দ্র সিং বলেন, বিজেপি জোটে অবিশ্বাসের পালা শুরু হয়ে গিয়েছে। হরিয়ানায় বিজেপি-জেজেপি সরকারে ভাঙন এখন সময়ের অপেক্ষা।

হরিয়ানায় বিধানসভার জোট অঙ্ক
প্রসঙ্গত, হরিয়ানা বিধানসভা ভোটে ৯০ আসনের মধ্যে ৪০ টি আসন পায় বিজেপি। কংগ্রেস পেয়েছিল ৩১ টি। অন্যদিকে জেজেপি ১০ টি আসন পেয়ে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়ে ফেলে। কিং মেকার হয়ে চৌতালা শিবির বাজি মাত করলেও বিজেপির সঙ্গে তাঁদের হরিয়ানার সংসার যে জমেনি, তার প্রমাণ ২০২০ সালে হরিয়ানায় উপনির্বাচনের ফলাফল। সেখানে বরোদা আসনে বিজেপির হারের নেপথ্যে সরকারে সংঘাত বলেই দাবি বিপক্ষ শিবিরের।

সংঘাত চরমে হরিয়ানায়!
প্রসঙ্গত, হরিয়ানায় বরোদা ইপনির্বাচনে বিজেপির হেভিওয়েট যোগেশ্বর দত্ত পরাজিত হতেই সেখানের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা খট্টর জানাতে বাধ্য হন যে জেজেপির সমর্থন বিজেপির ভোট ব্যাঙ্কে আসেনি বলেই এভাবে উপনির্বাচন হারেন বিজেপি প্রার্থী।

কাউন্ট ডাউন শুরু!
কংগ্রেসের দীপেন্দ্র হুডার দাবি, হরিয়ানায় বিজেপি জোটের সরকার পতনের কাউন্ট ডাউন শুরু হয়েছে। ফাটল চওড়া হচ্ছে। এবার শুধু জনসমক্ষে তা প্রকাশের অপেক্ষা। এমন এক পরিস্থিতিতে তিনি জেজেপিকে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গঠনেরও ডাক দেন।


বিজেপিকে মাত দেওয়ার গেমপ্ল্যান
দীপেন্দ্র জেজেপিকে বুঝিয়ে দেন যে বিধানসভার থেকেও বেশি শতাংশ ভোট কংগ্রেস। ফলে জনসমর্থন তথা হরিয়ানার হাওয়া হাত-মুখী। এমন এক পরিস্থিতিতে বিজেপি-জেজেপি একটি মাত্র উপনির্বাচনের কেন্দ্রেই ২০ হাজার ভোট হারিয়েছে। ফলে এবার চৌতালা শিবিরের কোর্টে 'বল'!