পুলিশ নিরপেক্ষ নয়, প্রমাণ হাতে পেলেন রাজ্যপাল! রাজ্যে গণতন্ত্র লজ্জিত, মমতার সরকারকে আক্রমণ ধনখড়ের
রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে সরব রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (jagdeep dhankhar)। শহিদ সেনা জওয়ান সুবোধ ঘোষের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে বিজেপি (bjp) সাংসদকে বাধা দেওয়ায় পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। যদিও বিষয়টিতে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল।

শহিদ জওয়ানের শেষকৃত্যে বাধা বিজেপি সাংসদকে
ঘটনাটি রবিবার রাতের। শহিদ সেনা জওয়ান সুবোধ ঘোষের দেহ নিয়ে যাওয়া হয় নদিয়ার তেহট্টের রঘুনাথপুরের বাড়িতে। বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে স্থানীয় স্কুলের মাঠে করা অস্থায়ী মঞ্চে রাখা হয়েছিল দেহ। সেখানে সুবোধ ঘোষের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর বন্দোবস্ত করা হয়েছিল প্রশাসনের তরফ থেকে। প্রশাসনিক কর্তারা ছাড়াও হাজির ছিলেন এলাকার সাংসদ, বিধায়কও। সেখানে শ্রদ্ধা জানাতে গেলে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে পুলিশ কোনও বাধা না দিলেও। রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে বাধা দেয় পুলিশ। তাঁকে জানানো হয়, পুলিশের শীর্ষ মহল থেকে অনুমতি পাওয়া যায়নি। বেশ কিছুক্ষণ তিনি এবং বিজেপি নেতারা হাতে মালা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন।

জগন্নাথ সরকারের অভিযোগ
রাজ্যে অগণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন, রানাঘাটের সাংসদ। পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। ঘটনাস্থলে জেলার ডিএম, এসপি উপস্থিত। পাশে বসে রাজ্যের এক সাংসদ। কিন্তু অপর সাংসদকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগও তিনি করেন। বিজেপি সাংসদ জানিয়েছেন, প্রায় আধঘন্টা দাঁড় করিয়ে রাখার পর তাঁকে পুলিশ ঢোকার অনুমতি দেয়।

সরব রাজ্যপাল
বিষয়টি নিয়ে এদিন সকালে সরব হয়েছেন রাজ্যপাল। তিনি রাজ্যের পুলিশ রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। পলাশির শ্মশানে শহিদ জওয়ান সুবোধ সরকারের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে নদিয়ার পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসক যে আচরণ করেছেন, তার জন্য অতিরিক্ত মুখ্যসচিব এবং ডিজিপির কাছ থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
অপর একটি টুইটে রাজ্যপালের আরও অভিযোগ, রাজ্যে গণতন্ত্র লজ্জিত। এরকম এক অনুষ্ঠানে শাসকদলের সাংসদ অতিথি কিন্তু বিরোধী দলের সাংসদকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। গণতন্ত্র বাঁচানোর স্বার্থে উর্দিধারী পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের দৃষ্টান্তমূলক পরিণতি হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

নিরাপত্তা উপদেষ্টার প্রতি প্রশ্ন
বিষয়টি নিয়ে অপর একটি টুইটে রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুরজিৎ কর পুরকায়স্থের প্রতি প্রশ্ন করেছেন রাজ্যপাল। তিনি বলেছেন, রাজ্যের কাছ থেকে তথ্য চাওয়া নিয়ে কোন ধকরনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে , তার তাঁর জানা নেই। কিন্তু প্রশাসনের উর্দিধারী এধরনের সীমালঙ্ঘন করেছেন দেখলে তিনি চমৎকৃত হবেন। তিনি আরও বলেছেন সরকারি কর্মীরা রাজনৈতিক কাজ করলে তাঁদের আইনের কোপে পড়তে হয়।

গুরুত্বে নারাজ তৃণমূল
যদিও বিষয়টি নিয়ে গুরুত্বে নারাজ তৃণমূল। রাজ্যপাল অহেতুক জলঘোলা করছেন বলে মন্তব্য তৃণমূলের।
বিহারে দুই উপমুখ্যমন্ত্রী কুর্সি দখলের পরও বিজেপির সামনে কোন কাঁটা রয়ে যাচ্ছে! পাল্টা চাল শুরু