জগন্মোহন রেড্ডির বিরুদ্ধে চলা মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি
অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডির বিরুদ্ধে চলা মামলার শুনানি থেকে সরে দাঁড়ালেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ইউ ইউ ললিত। সোমবারই তিনি তাঁর ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। আর তার এই সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ্যে আশার পরেই তীব্র জল্পনা শুরু হয়েছে রাজ্য-রাজনীতিতে। এদিকে এর আগে সুপ্রিম কোর্টের বরিষ্ঠ বিচারপতি এন ভি রামানার বিরুদ্ধে বেনজির ভাবে সু্প্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদেকে চিঠি লিখে অভিযোগ জানিয়েছিলেন জগন্মোহন৷ যেখানে ভারতীয় বিচারব্যবস্থার বিরুদ্ধেও একাধিক বড়সড় অভিযোগ আনেন তিনি।

এদিকে তাঁর ওই অভিযোগের পরেই বিচারব্যবস্থার প্রতি অবমাননার অভিযোগে জগনমোহনের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে শীর্ষ আদালতে পিটিশন দাখিল করেন দুই আইনজীবী। তাদের মধ্যেই একজন হলেন এই ইউ ইউ ললিত। এমনকী জগন্মোহন রেড্ডির অপসারণের দাবিও আরও জোরদার হয়। এবার সেই মামলার শুনানি থেকেই নিজেকে সরিয়ে নিলেন বিচারপতি ললিত। তবে তার এই সিদ্ধান্তের ফলে গোটা মামলাটিই প্রত্যাহার করা হচ্ছে কি না সে বিষয়ে পরিষ্কার ভাবে কিছু জানা যায়নি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ললিতের নতুন সিদ্ধান্তের ফলে এই মামলার পরবর্তী কার্যক্রমের দায়ভার এসে পড়ছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের উপর।
এদিকে জগন্মোহনের চিঠির পরেই এই ইস্যুতে তোলপাড় হয় রাজ্য-রাজনীতি। গত ৬ অক্টোবর জগনমোহনের লেখা চিঠিতে চারপতি এন ভি রামানার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে তিনি লেখেন, অন্ধ্রপ্রদেশে গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত সরকারকে ফেলে দেওয়ার জন্য অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টকে ব্যবহার করা হচ্ছে। এমতাবস্থায় অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্ট যাতে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে কাজ করে সেই জন্য সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপেরও দাবি করেন তিনি। এদিকে এর আগে এই প্রসঙ্গে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন বিচারপতি রামানা। নাম না করেই জগন্মোহনের উদ্দেশ্যে কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, “মানুষের বিশ্বাসই সুপ্রিম কোর্টের সবথেকে বড় অস্ত্র৷ বিশ্বাস, আস্থা জোর করে পাওয়া যায় না, তা অর্জন করতে হয়।”