'বিজেপি নেতারা আমার পায়ে পড়ে কাঁদলেন',মুখ্যমন্ত্রী পদে নীতীশের শপথের আগে তেজস্বীর দলের খোঁচা
আর খানিক ক্ষণের মধ্যে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন নীতীশ কুমার। সপ্তমবার বিহারের কুর্সি তাঁর নামে আসছে। তবে সদ্য সমাপ্ত ২০২০ বিহার বিধানসভা ভোটে কয়েকটি আসনে পিছিয়ে গিয়ে রুদ্ধশ্বাস হারের কষ্ট ভুলতে পারছে না লালু-তেজস্বী আরজেডি। মুখ্যমন্ত্রী পদে নীতীশের বসার আগে তারা ঝাঁঝালো খোঁচা দিতে ছাড়ছে না!

শপথে নেই আরজেডি
মূলত বিহারে এই মুহূর্তে বিপক্ষের সবচেয়ে বড় দল আরজেডি। কিন্তু এদিন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নীতীশ কুমারের শপথ তারা বয়কট করেছে। তেজস্বীর দল আগেই দাবি করে যে , বিহারে পুনরায় গণনা প্রয়োজন। তারা নির্বাচন কমিশনের ওপর সন্দেহও প্রকাশ করে গণনা পদ্ধতি নিয়ে। তবে কোনও লাভের লাভ হয়নি। ফলে পাল্টা রোষ রয়ে গিয়েছে!

আরজেডির খোঁচা
এদিন নীতীশ কুমারকে তোপ দেগে আরজেডি টুইটে লেখে , ' আমি মুখ্যমন্ত্রী হতে চাইনি, কারণ আমার পার্টি তৃতীয় স্থানে রয়েছে। আর আমি ক্লান্ত। কিন্তু কয়েকজন বিজেপি নেতা ওসে আমার পা ধরে , কাঁদতে শুরু করে, আমার সামনে আর্জি জানাতে থাকে। আর আমি নরম মনের,... ক্ষমতা লোভী, আমি তাই মত বদলাই। মি কী করে তাঁদের ফেরাতে পারি!'

তেজস্বী শিবিরের চাঁচাছোলা তীর
এর আগে তেজস্বী যাদব সাফ জানিয়েছে, যে আরজেডির কয়েকটি আসনে পিছিয়ে থাকা মানে ভোট আদতে নীতীশ বিরোধী। জনমচত নীতীশের বিরুদ্ধে।, ফলে তিনি এখন বিহারের মসনদে কিছুতেই বসতে পারেননা। এরপর নীতীশ কুমার জানিয়েছিলেন যে, বিহারের গদি নিয়ে ভাবনার থেকেও তিনি দলের পারফরম্যান্স নিয়ে ভাবছেন। আর নীতীশের সেই মন্তব্য ধরেই এদিন কটাক্ষের সুর চড়া করে আরজেডি তোপ দাগে।

তেজস্বী জোরালো পরিকল্পনায়!
প্রসঙ্গত, বিহারের আরজেডি জোটের তেজস্বী যাদব জোরালো পরিকল্পনায় রয়েছেন এখনও। তিনি দাবি করেছেন, মন্ত্রিত্ব নিয়ে এনডিএর মধ্যে সংঘাাত অবিশ্যম্ভাবী। আর তার সুযোগের অপেক্ষায় আরজেডি। তিনি দলীয় বিধায়কদের আপাতত পাটনা ছাড়চে বারণ করেছেন। হ্যাম ও ভিআইপি পার্টিকে নিয়ে এনডিএর গতিবিধিতে আপাতত কড়া নজর রেখেছে তেজস্বী শিবির। আর সেই প্রেক্ষাপটেই চলবে পরবর্তী পরিকল্পনা।
জোটে জট বাম, কংগ্রেসের! তৃতীয় বিকল্পের সন্ধানে চরম বার্তা অধীরের