কোভিড সংকটে কড়া স্বাস্থ্যবিধি, উপচে পড়া ভক্তসমাগম কালীঘাটে
সন্ধ্যে নামতেই শহরের বিভিন্ন মন্দিরে দর্শনার্থীদের ভিড়। কালীঘাটে পুজো দিতে হাজির দর্শনার্থীরা। কোভিড আবহে নিউ নর্ম্যালে আলোয় ভাসছে বাংলা।

কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে সমস্ত শক্তিপীঠে কালী আরাধানা হলেও কালীঘাটে পুজা হয় অন্যরকম। শ্যামা পুজোর দিনে মন্দিরের গর্ভগৃহে দক্ষিণাকালীকে মহালক্ষ্মী রূপে পুজো করা হয়। রাতে নয় কালীঘাটে সন্ধ্যেতেই পুজোর নিয়ম। করোনা সংকটে এবছর সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে থার্মাল স্ক্রিনিং ও স্যানিটাইজিং টানেলের মধ্যে দিয়ে দর্শনার্থীদের মন্দিরে প্রবেশ করা বাধ্যতামূলক। করোনা কালে এবছর সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১ টা ও বিকেল ৪টে থেকে ১১ টা পর্যন্ত দর্শনার্থীরা মন্দিরে পুজো দিতে পারবেন। মাস্ক পরে তবেই মন্দিরে প্রবেশ করা যাচ্ছে।
সন্ধ্য়েতে প্রথমে অলক্ষ্মী তাড়িয়ে মন্দিরে পাট কাঠি জ্বালিয়ে মন্দির প্রদক্ষিণ করা হয়। অলক্ষ্মী বিদায়ের পর গোটা মন্দির ধুয়ে তারপর লক্ষ্মীপুজো শুরু। সন্ধেবেলা লক্ষ্মীপুজো শেষ হয়ে গেলে রাতে ভোগ চড়ানো হয়। কালীঘাটে দুপুরে দেবীকে অন্নভোগ দেওয়া হয়। যদিও রাতে লক্ষ্মীরূপী মাকে নিরামিষ ভোগ নিবেদন করা হয়। সেখানে ময়দার লুচি, খিচুড়ি-তরকারি, দু-তিন রকমের ভাজা, রাবড়ি-রসগোল্লা-দই-মিষ্টি-পান-জল দেওয়া হয়।