শেষ পর্যন্ত হার স্বীকার ট্রাম্পের? আইনি লড়াইতে ধাক্কা খেয়ে কী বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট
ভোট নিয়ে আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিযোগ খারিজ করল সেদেশের নির্বাচন অফিস। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোনওরকম জালিয়াতি হয়নি বলে তারা জানিয়ে দিল৷ শুক্রবার মার্কিন সংবাদমাধ্য়মের রিপোর্টে বলা হয়৷ সে দেশের নির্বাচন অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, ২০২০ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন মার্কিন ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি নিরাপদ ছিল৷ পাশাপাশি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্য়ালট জালিয়াতির অভিযোগও খারিজ করে দেওয়া হয়েছে৷ জো বাইডেন এ পর্যন্ত ৩০৬টি ইলেক্টোরাল ভোট পেয়েছেন। আর ট্রাম্প পেয়েছেন ২৩২টি ইলেক্টোরাল ভোট।

হার স্বীকারের ইঙ্গিত ট্রাম্পের
এদিকে এই রায়ের পর ট্রাম্প টুইট করে লেখেন, 'আশা করি, ভবিষ্যতে যা হবে তা দেখা যাবে। কীরম প্রশাসন দেশ চালাবে তা সময় বলবে।' এখনও হার স্বীকার না করলেও ট্রাম্পের এই বাক্যের মধ্যেই সবাই হার স্বীকারের ইঙ্গিত খুঁজে পাচ্ছেন। যদিও অপর একটি সূত্রের দাবি, যে ট্রাম্পের প্রশাসন হোয়াইট হাউজে তাঁদের স্থায়িত্ব দীর্ঘায়িত করার রূপরেখা তৈরি করছে। এদিকে এদিন ট্রাম্প আরও বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে তিনি কখনোই আবার লকডাউন দেবেন না।

ভোটের ফলাফল পর্যবেক্ষণ ও পুনরায় খতিয়ে দেখছেন
বৃহস্পতিবার মার্কিন নির্বাচন কমিশন, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি, ইলেকশন ইনফ্রাস্ট্রাকচার গভর্নমেন্ট কোঅরডিনেটিং কমিটি এবং অন্য স্টেট অফিসিয়ালদের যৌথ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে৷ সেখানে বলা হয়েছে, ৩ নভেম্বরের নির্বাচন মার্কিন ইতিহাসে সবচেয়ে নিরাপদে হয়েছে৷ ফাইনাল ফলাফল ঘোষণার আগে, মার্কিন নির্বাচন আধিকারিকরা ভোটের ফলাফল পর্যবেক্ষণ ও পুনরায় খতিয়ে দেখছেন৷

নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে অনেক অভিযোগ এবং ভুয়ো তথ্য পেশ
পাশাপাশি কমিশনের তরফে এও বলা হয়েছে, নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে অনেক অভিযোগ এবং ভুয়ো তথ্য পেশ করা হয়েছে৷ তবে, মার্কিন নাগরিকদের উদ্দেশ্য়ে আশ্বস্ত করে বলা হয়েছে, এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সবচেয়ে নিরাপদ ছিল৷ এবং সেখানে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা রাখা হয়েছে৷ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, মানুষ যখন অভিযোগ করে, তখন তার বিশ্বস্থ্য় জবাব দেওয়ার জন্য় নির্বাচনী আধিকারিকরা সবসময় তৈরি থাকে৷ কমিশনের এই বিজ্ঞপ্তিটি সাইবার সিকিউরিটি অ্য়ান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিউরিটি এজেন্সির ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হয়েছে৷

ভোট কারচুপির অভিযোগ
এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কয়েক মুহূর্ত আগে ট্রাম্প একটি টুইট করে অভিযোগ করেন, ২৮টি স্টেটে যেখানে তাঁকে ভোট দেওয়া হয়েছে, সেগুলিতে ভোটিং সফ্টওয়্য়ার ব্যবহার করে তাঁকে হারানো হয়েছে৷ যদিও এর স্বপক্ষে ট্রাম্প কোনো প্রমাণ পেশ করতে পারেননি৷ এদিকে জো বাইডেন এ পর্যন্ত ৩০৬টি ইলেক্টোরাল ভোট পেয়েছেন। আর ট্রাম্প পেয়েছেন ২৩২টি ইলেক্টোরাল ভোট।
কাশ্মীর সীমান্তে পাক হামলায় শহিদ তেহট্টের সুবোধ, দিওয়ালিতে অন্ধকার নামল নদিয়ায়