বঙ্গ নির্বাচনে দিকে তাকিয়ে বিহারের মসনদে বসানো হচ্ছে নীতীশকে, নেপথ্যে কোন সমীকরণ?
নীতীশ কুমারের রাজনৈতিক জীবন নিয়ে জল্পনা বেড়েছিল নির্বাচনী সভায় তাঁর এক বক্তব্য থেকে। এরপর নির্বাচনের ফল বের হল। এনডিএ জিতল ঠিকই, তবে হারল নীতীশের দল। তবে তা সত্ত্বেও বিজেপির তরফে তাঁকেই পাটনার মসনদে বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে জল্পনা বেড়েছে বিস্তর। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলার নির্বাচনকে মাথায় রেখেই বিজেপির এই চাল।

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে প্রস্তুত নীতীশ
সপ্তমবারের জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে প্রস্তুত নীতীশ কুমার। জানা গিয়েছে, দীপাবলির পর ১৬ নভেম্বর শপথ নিতে পারেন তিনি। তবে বিহারে মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর।

নীতীশের সুশান বাবু ভাবমূর্তি
নীতীশের সুশান বাবু ভাবমূর্তিকে কাজে লাগিয়ে বিজেপি বাংলাতেও মানুষের মন জয় করতে চাইবে বিজেপি। প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিয়ে মমতাকে খোঁচা দিতে ছাড়ে না বিজেপি। কাটমনি থেকে শুরু করে আমফানের সময় বিস্তর দুর্নীতিতে জর্জরিত রাজ্যের শাসক দল। নীতীশের ভাবমূর্তিকে কাজে লাগিয়েই সেই ক্ষততে আরও আঘাত হানতে চায় বিজেপি।

নজর রাজ্যের নিম্ন বর্ণের এবং হিন্দি ভাষী ভোটারদের উপর
তাছাড়া রাজ্যের নিম্ন বর্ণের এবং বিহারী হিন্দি ভাষী ভোটারদের মনেও নীতীশের সুশাসন প্রভাব ফেলতে চায় বিজেপি। এছাড়া রয়েছে ২০২৪-এর নির্বাচনের রূপরেখা তৈরির বিষয়টি। গত কয়েক মাসের ব্যবধানে শিরমণি একাল দল এবং শিবসেনার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়াতে অস্বস্তিতেও রয়েছে বিজেপি। তাই জোট ধর্মে তাদের আনুগত্য প্রমাণ করতেও বদ্ধপরিকর বিজেপি। এর মাধ্যমে বিজেপি বোঝাতে চাইছে যে মহারাষ্ট্রে তারা ভুল ছিল না। রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি তারা ভঙ্গ করে না।

ভালো ফল করেনি জেডিইউ
জিতলেও এবার বিহারের বিধানসভা ভোটে ভালো ফল করেনি জেডিইউ। আর এই ফলের জন্য চিরাগ পাসওয়ানের বিরুদ্ধে ভোট কাটার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। এবিষয়ে নীতীশ কুমার বলেন, 'এলজেপি-র বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হলে বিজেপি-কে করতে হবে। এলজেপি, এনডিএ-তে থাকবে কি না সেবিষয়েও সিদ্ধান্ত নিতে হবে তাদেরই।

কালীপুজোর পরেই রাজ্যে নির্বাচন নিয়ে ঝাঁপাবে বিজেপি
গেরুয়া শিবিরের নেতাদের পরিকল্পনা, কালীপুজোর পরেই তাঁরা হইহই করে বিধানসভা ভোটের হাওয়া পুরোদস্তুর তুলে দেবেন। এদিকে বিহারে এনডিএর জয় কর্মকর্তাদের মনোবল আরও চাঙ্গা করেছে। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গে এবং জঙ্গলমহলে দলের মজবুত সংগঠনকে আরও চাঙ্গা করতে নীতীশের সরকারের উদাহরণ তুলে ধরা হবে বলেই খবর।
আল-কায়েদার 'টার্গেট লিস্টে' বাংলা, দিওয়ালির আগেই চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট পেশ আইবি-র