জো বাইডেনের জয়ের পর প্রথমবার মুখ খুলল বেজিং, কোন পথে চিন-মার্কিন সম্পর্ক?
আমেরিকার ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার খবর পাকা হতেই জো বাইডেনকে টুইটারে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাইডেনের সঙ্গে একটি পুরোনো ছবিও পোস্ট করেছিলে তিনি। পাশাপাশি ফ্রান্স সহ আরও বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের তরফে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠানো হয়েছে বাইডেনকে। তবে রাশিয়া এবং চিন চুপ ছিল। এবার শেষ পর্যন্ত চিনের পক্ষ থেকেও বাইডেনকে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠানো হল।

কী বলল চিন?
চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বাইডেনকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, 'আমেরিকানদের জনমতকে আমরা সম্মান জানাচ্ছি। আমরা জো বাইডেন এবং কমলা হ্যারিসকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। মার্কিন আইন এবং প্রক্রিয়া মেনে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয়েছে বলে আমরা মনে করছি।'

মার্কিন-চিন চলমান অস্থিরতা
অনেকেই মনে করেছিলেন যে মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে চাইছে চিন এবং রাশিয়া। একদিকে রাশিয়া যখন ট্রাম্পের পক্ষে ফলাফল চাইছিল, চিন চাইছিল বাইডেনের জয়। কারণ মার্কিন-চিন চলমান অস্থিরতা কতকটা ট্রাম্পের জন্যেই আরও বেড়ে চলেছিল। এমনকী চিনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে মার্কিন জনমত পেতেও মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের অভিযোগ ছিল, বাইডেন চিন ইস্যুতে নরমপন্থা অবলম্বন করবেন।

বাইডেন নিজেও চিনকে তোপ দেগেছেন
যদিও বাইডেন নিজেও চিনকে তোপ দেগেছেন নিজের নির্বাচনী প্রচারের সময়। তাই অনেকে মনে করেন যে বাইডেনও চিনের উপর চাপ তৈররির পথ থেকে সরে আসবেন না। চিন নিজেও বুঝতে পেরেছে যে হোয়াইট হাউজে ট্রাম্পের বদলে বাইডেন এলেও তাদের জন্যে খুব একটা স্বস্তিদায়ক হবে না ভবিষ্যতের পথ চলা।

মার্কিন নির্বাচন নিয়ে যা বলেছিল চিন
এর আগে চিনা কমিউনিস্ট পার্টি নিয়ন্ত্রিত গ্লোবাল টাইমসে বাইডেনের নির্বাচনী জয় প্রসঙ্গে লেখা হয়, 'চিনের এরকম ভুল ধারণা রাখা উচিত নয় যে মার্কিন মুলুকে বাইডেন নির্বাচিত হয়েছে বলেই চিন-মার্কিন সম্পর্ক সুদৃঢ় হয়ে যাবে বা তা উন্নতির পথে হাঁটবে। চিনকে এমন একটা দেশ হয়ে উঠতে হবে যেখানে আমেরিকা আমাদের উপর কোনও জোর জুলুম খাটাতে না পারে। আমেরিকা যেভাবে নিজেদের জাতীয় স্বার্থটা বুঝে নেয়, সেভাবেই চিনকে নিজেদের জাতীয় স্বার্থ বুঝে পরবর্তীতে পা ফেলতে হবে।'

কেমন হবে চিন-আমেরিকার সম্পর্ক?
বাইডেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হলে চিনের সঙ্গে কেমন হবে আমেরিকার সম্পর্ক? এই প্রশ্ন ঘুরঘুর করছিল অনেকেরই মনে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে বাইডেন ওয়াশিংটনের হাওয়া বুঝে চিন বিরোধী দলে নাম লিখিয়েছেন। বাইডেন মার্কিন বিদেশ নীতি ঠিক করার দায়িত্বে থেকেছেন বহুকাল। সেই সময় চিনের সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে দূরত্ব কমানোর উপরই জোর দিয়েছেন বারংবার।

জিনপিংকে 'যোচ্চের' বলে সম্বোধন করেছিলেন বাইডেন
তবে সেই বাইডেনকেই গত কয়েক মাসে প্রকাশ্যে শি জিনপিংকে 'যোচ্চের' বলে সম্বোধন করতে শোনা গিয়েছে। এদিকে শেষ পর্যন্ত চিনের তরফে বাইডেনকে শুভেচ্ছাবার্তা দেওয়া হলেও ব্রাজিল, রাশিয়া এবং মেক্সিকোর মতো দেশের রাষ্ট্রনায়করা এখনও নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।
শেষ হয়নি মার্কিন নির্বাচন, হোয়াইট হাউজের দৌড় এখনও কীভাবে জিততে পারেন ট্রাম্প?