বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার আগেই সমালোচকদের কোন জবাব নীতীশের! করজোড়ে কী বললেন জেডিইউ নেতা
এলজেপি নেতা চিরাগ পাসোয়ান ভোটের আগে নীতীশ বিরোধিতায় পারদ চড়িয়েছিলেন । তিনি রামবিলাসের সঙ্গে নীতীশের সম্পর্ক নিয়েও তোপ দাগতে ছাড়েনন বিহারের মুখ্য়মন্ত্রীকে। বহুভাবে নীতীশের 'অহংকার' নিয়ে চিরাগ ফুঁসে উঠেছিলেন। এমন এক পরিস্থিতিতে বিহারে মুখ্যমন্ত্রীর তখতে বসার আগে নীতীশ মুখ খুললেন।

সমালোচকদের জবাব নীতীশের
নীতীশ কুমার মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলছিলেন বিহার ভোটের পর। সেই সময়ই মিডিয়ার তরফে বিভিন্ন প্রশ্ন করা হয়। সপ্তমবার বিহারের মসনদে বসতে চলা নীতীশকে অহংকার নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। যার জবাবে নীতীশ বলেন, 'দয়া করে আমাকে অহংকারী বলবেন না'।

কী প্রশ্ন ছিল নীতীশের সামনে?
এক নামী সংবাদমাধ্যম প্রশ্ন তোলে, মানুষের সঙ্গে নীতীশের সংযোগ তিনি নিজেই বন্ধ করে দেন, এটা কি তাঁরক অহংকারের প্রকাশ? যার জবাবে হাতজোর করে নীতীশ জানিয়ে দেন, তিনি অহংকারী নন। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে ভাবনার চেয়েও বেশি জেডিইউএর ভোট বিশ্লেষণে তিনি ব্যস্ত।

চিরাগের সমালোচনা
এর আগে , চিরাগ পাসোয়ান নীতীশের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেছিনে, একবার তাঁর বাবা রামবিলাস ভোটে মনোনয়নের জন্য যাওয়ার আগে, নীতীশকে তাঁর সঙ্গে যেতে বলেন। নীতীশ কুমার মনোয়নের শুভ মুহূর্ত পেরিয়ে গেলে আসেন বলে অভিযোগ ছিল চিরাগের। ঘটনাকে তিনি নীতীশের অহংকারের দোষে দুষ্ট করেন।

'চুপ' থাকা নিয়ে নীতীশের বার্তা
নীতীশকে সাংবাদিক সম্মেলনে বারবার প্রশ্ন করা হয় যে , তিনি করোনা কালে কেন চুপ ছিলেন? কেন বিহারের মানুষের কাছে মুখ খোলেননি? তাহলে কি এটা অকর্মন্যতার নির্দশন ছিল সরকারের? জবাবে নীতীশ বলেন, ' আপনারা জানছেন কী করে যে লকডাউনে কাজ হয়নি? এত কাজ করার পর যদি বিহারে কেউ মিথ্যাচার করেন তাহলে তাঁকে কী বলব?' পাশাপাশি বিহারের অপরাধ নিয়ে নীতীশের দাবি, বহু সরকার চেষ্টা করেও নিজের এলাকায় অপরাধ শূন্য করতে পারেনি। কেউ যদি সমালোচনা জেনে বুঝে করতে চায়, তাহলে কিছু করার নেই বলে বার্তা দেন তিনি।
বিজেপির ন্যাশনাল ভাইস প্রেসিডেন্ট জয় পান্ডা পড়তে পারেন মহাবিপাকে! পুরীতে কী ঘটে গিয়েছে