আতসবাজির ওপর নিষেধাজ্ঞা, দেখে নিন কোন কোন রাজ্যে কতদিনের জন্য জারি এই নির্দেশ
দেশের বহু রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বাজি ফাটানো ও কেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তার অন্যতম একটি কারণ হল বায়ু দূষণ। অন্যদিকে সোমবার ন্যাশনাল গ্রিণ ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে সম্পূর্ণভাবে সব ধরনের বাজি বিক্রি ও ফাটানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেওয়া হয়। যা চলবে ৯ নভেম্বর মধ্যরাত থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। বাজি বিক্রি নিষেধাজ্ঞা করে বলা হয়েছে, কোনও শুভকাজে বাজি ফাটানো হয়, মৃত্যু বা রোগকে উদযাপনের জন্য নয়। এবার দেখে নেওযা যাক কোন কোন রাজ্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

পশ্চিমবঙ্গ
কোভিড-১৯ মহামারির কথা মাথায় রেখে কলকাতা হাইকোর্ট বায়ু দূষণ রোধ করতে দিওয়ালি, কালী পুজো, ছট ও কার্তিক পুজোয় পশ্চিমবঙ্গে বাজি ফাটানো ও বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কেউ এই নিয়ম লঙ্ঘন করলে তাকে ছ'মাসের জন্য জেলে পাঠানো হবে।

দিল্লি
দিল্লি সরকার গত সপ্তাহে বাজি ফাটানো ও বিক্রির ওপর সম্পূর্ণভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ৭ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা চলবে। দিল্লির পরিবেশ মন্ত্রী গোপাল রাই জানিয়েছেন যে দিওয়ালির সময় কেউ যদি এই নিয়ম না মানেন তবে তাঁকে বায়ু দূষণ আইন অনুযায়ী শাস্তি পেতে হবে।

মহারাষ্ট্র
মহারাষ্ট্রে ৬ নভেম্বরই নির্দেশিকা জারি করে দেওয়া হয়েছিল। সরকারের পক্ষ থেকে মহারাষ্ট্রবাসীকে অনুরোধ করে বলা হয় যে এ বছর দিওয়ালি সাধারণভাবে যেন পালন করা হয়। প্রদীপ-আলো দিয়ে ঘর সাজিয়ে সকলেই যেন বাড়িতে থাকেন। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে সকলকে বাজি না ফাটানোর জন্য অনুরোধ করেন। কোভিড-১৯ কেস মহারাষ্ট্রে বেড়েই চলেছে, যার জেরে স্থানীয় প্রশাসন জনবহুল এলাকায় বাজি ফাটানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

ওড়িশা
বায়ু দূষণের প্রভাব কোভিড-১৯ রোগীর ওপর পড়তে পারে তাই সরকার উৎসবের মরশুমে১ বাজি বিক্রি ও ফাটানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ১০ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।

কর্নাটক
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা দিওয়ালির সময় বাজি ফাটানো ও বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে এবং খুবই সাধারণভাবে এই উৎসব পালন করার ও পরিবেশবান্ধব বাজি ফাটানোর জন্য আর্জি করেছেন। কর্নাটকে একমাত্র পরিবেশবান্ধব বাজি বিক্রির ওপর অনুমতি রয়েছে।

রাজস্থান
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট জানিয়েছেন যে রাজ্য সরকার করোনা ভাইরাস রোগীদের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে এবং বাজি থেকে হওয়া বিষাক্ত ধোঁয়ার কারণে বাজি ফাটানো এবং বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

চণ্ডীগড়
এ রাজ্যেও বাজি ফাটানো ও বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

সিকিম
সরকারের পক্ষ থেকে বাজি ফাটানো ও বিক্রির ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে । পরবর্তী নোটিস না পাওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।