শীত পড়তেই ফের আশঙ্কা বাড়ছে চিনে, একাধিক শহরে নতুন করে থাবা বসাচ্ছে মারণ করোনা
করোনার প্রথম রেশ কাটতে না কাটতেই শীতের হাত ধরে আবার ফিরছে কোভিড। ইতিমধ্যেই চিনের এক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন যে, বিদেশ থেকে আগত নাগরিকদের হাত ধরেই সেদেশে পুনরায় ফিরছে করোনার প্রকোপ। এমতাস্থায় করোনা প্রতিরোধী স্বাস্থ্যকাঠামোয় ঢিলেমি দিলে শীতেই চিনে বিক্ষিপ্তভাবে আবারও বাড়বে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ, এমনটাই দাবি চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের সহ-সভাপতি লি বিনের।

করোনা তালিকায় নিচের দিকে থাকলেও চিন্তা বাড়াচ্ছে চিন
করোনা ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল হিসেবে চিনের উহান শহরকে চিহ্নিত করা হলেও বর্তমানে কোভিড তালিকায় চিনের রয়েছে বিশ্বের মধ্যে ৬০তম স্থানে। যদিও এতেই নিশ্চিন্ত হচ্ছেন না গবেষকরা। গত ৬ই নভেম্বর চিনে নতুন করে ৩৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা যায়। এদিকে এদের মধ্যে অধিকাংশের শরীরেই আবার দেখা মিলছে অভিযোজিত এসএআরএস-সিওভি-২ ভাইরাসের! ফলে কপালে ভাঁজ চওড়া হচ্ছে চৈনিক গবেষকদের।

কমছে উপসর্গহীন কোভিড আক্রান্তের সংখ্যাও
চিনের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য বলছে, ৯ই নভেম্বর দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ২২ থাকলেও ১০ই নভেম্বর তা কমে হয় ১৭। অন্যদিকে উপসর্গহীন কোভিড আক্রান্তের সংখ্যাও কমছে বলে খবর। যদিও চিনের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সূত্রে খবর, ১০ই নভেম্বর নতুন করে আক্রান্ত ১৭ জনের মধ্যে ১৬ জনই বিদেশফেরত। বর্তমানে চিনে মোট আক্রান্ত ৮৬,২৮৪ জন, মৃত ৪,৬৩৪।

সাংহাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও বাড়ছে করোনা উদ্বেগ
গত ১০ই নভেম্বর সাংহাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক উড়ানকর্মীর করোনা ধরা পড়ার পরই সংস্থার তরফে প্রায় ৮,০০০ বিমানকর্মীর কোভিড টেস্ট হয়। সূত্রের খবর, অন্য কোনো কর্মীর করোনা ধরা পড়েনি। যদিও ওই বিমানকর্মী কিভাবে আক্রান্ত হলেন, সে বিষয়ে খতিয়ে দেখছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। চিকিৎসকদের আশঙ্কা, বিদেশফেরত কোনো যাত্রীর শরীর থেকেই হয়তো ওই বিমানকর্মীর শরীরে বাসা বেঁধেছে করোনা!

গত ১০ই নভেম্বর সাংহাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক উড়ানকর্মীর করোনা ধরা পড়ার পরই সংস্থার তরফে প্রায় ৮,০০০ বিমানকর্মীর কোভিড টেস্ট হয়। সূত্রের খবর, অন্য কোনো কর্মীর করোনা ধরা পড়েনি। যদিও ওই বিমানকর্মী কিভাবে আক্রান্ত হলেন, সে বিষয়ে খতিয়ে দেখছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। চিকিৎসকদের আশঙ্কা, বিদেশফেরত কোনো যাত্রীর শরীর থেকেই হয়তো ওই বিমানকর্মীর শরীরে বাসা বেঁধেছে করোনা!
এদিকে এদিন দুপুরে পর্যন্ত চিনের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসাব বলছে, বৃহঃষ্পতিবার নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ জন, যাঁরা প্রত্যেকেই বিদেশফেরত। এঁদের মধ্যে ৪ জন সাংহাইয়ের, ৪ জন সিচুয়ানের, ২ জন সাংকসির এবং ১ জন করে তিয়ানজিন, মঙ্গোলিয়া, ফুজিয়ান ও গুয়াংডংয়ের। পাশাপাশি ৬ জন উপসর্গহীন আক্রান্তের খোঁজও মিলেছে আজ। এখনও পর্যন্ত চিনে ৭২৮ জন উপসর্গহীন আক্রান্তের চিকিৎসা চলছে, যাঁদের মধ্যে ৪৫৭ জনই চিনের বাইরে থেকে করোনা ভাইরাস বহন করে এনেছেন।
ভঙ্গ হয়েছে প্রোটোকল! রাজ্য প্রশাসনে রাজনীতিকরণের অভিযোগে ফের সরব রাজ্যপাল ধনখড়