চিনের সঙ্গে সংঘাত হোক বা ভিসা নীতি! বাইডেনের হাত ধরে কতটা লাভবান হতে পারে ভারত?
নির্বাচনী ময়দানে মুখ তুবড়ে পড়লেও এখওব হোয়াইট হাউসের মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্যদিকে রিপাবলিকান শিবিরের সমস্ত হুঁশিয়ারিকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে ইতিমধ্যেই ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন জো বাইডেন। এদিকে আমেরিকা নয় ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্টকে নিয়ে বিশ্বেজুড়ে প্রবল হইচই দেখা গেলেও তাতে আখেড়ে ভারতের লাভ কতটা?

কোন কোন ক্ষেত্রে বড়সড় পরিবর্তনের আশঙ্কা ?
রাজনৈতিক বিশ্লেকদের মতে আমেরিকার এই পালাবদলে চিনের সঙ্গে সংঘাতের আবহ থেকে শুরু করে অভিবাসন নীতি, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি, বাণিজ্য সহ একাধিক ক্ষেত্রে বৈশ্বিক মানচিত্রে বড়সড় পরিবর্তন হতে চলেছে। যার ভাগিদার হবে ভারতও। তবে আশা-আশঙ্কা, দু'দিকের পাল্লাই প্রায় সমান ভারী।

ভিসা নীতিতেও শিথিলতার সম্ভাবনা
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, লকডাউনের মাঝে গোটা দেশে বেকারত্বের সমস্যা তীব্র আকার ধারণ করলে অভিবাসন নীতিতে বড়সড় রদবদল ঘটান ট্রাম্প। ভূমিপুত্রদের চাকরির সুযোগ করে দিতে 'আমেরিকা ফার্স্ট' নীতিকে সামনে রেখে কড়া ভিসা নীতিরও প্রবর্তন করেন। এইচওয়ানবি ভিসার মেয়াদ কমানো থেকে শুরু করে বাতিলের রাস্তাতেও হাঁটেন ট্রাম্প। যার ফলে সব থেকে বেশি বেকায়দায় পড়েন ভারতীয় তথ্য-প্রযুক্তি কর্মীরা। ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা বাইডেন ক্ষমতায় এসে প্রথমেই এই ভিসা নীতি খানিকটা শিথিল করা পথে হাঁটবেন।

মার্কিন নাগরিকত্ব পেতে পারেন মধ্যে ৫ লক্ষেরও বেশি প্রবাসী ভারতীয়
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে বাইডেন ক্ষমতায় এলে বাড়তে পারে বার্ষিক এইচ-১বি ভিসার সংখ্যা। এমনকী তুলে দেওয়া হতে পারে এইচ-১বি ভিসা পাওয়ার দেশভিত্তিক কোটাও। এইচ-১বি-র পাশাপাশি এল-১ সমেত বিভিন্ন ভিসার কড়াকড়িতেও শিথিলতা আসতে পারে। এমনকী নাগরিকত্ব পেতে পারেন ১.১ কোটি অভিবাসী। যাঁদের মধ্যে ৫ লক্ষেরও বেশি প্রবাসী ভারতীয়। এদের মধ্যে অনেকেই আবার তথ্যপ্রযুক্তিকর্মী।

চিনের একাধিক জনবিরোধী নীতির কড়া সমালোচনার রাস্তায় হাঁটতে পারেন বাইডেন
অন্যদিকে বাইডেন হাত ধরেই চিনের একাধিক জনবিরোধী নীতির কড়া সমালোচনার রাস্তায় হাঁটতে পারে আমেরিকা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে একাধিক বার করোনা সঙ্কটের জন্য চিনতে কাঢগড়ায় তুলতে দেখা য়ায় ট্রাম্পকে। এমনকী বেজিংয়ের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধে জড়ালেও জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের উপর আক্রমণ, হংকং ও তাইওয়ানে চিনের নীতি নিয়ে তাকে বিশেষ উচ্চবাচ্য করতে দেখা যায়নি। কিন্তু শুরু থেকেই বাইডেন চিনের এই নীতির ঘোর সমালোচক। এমনকী এই ক্ষেত্রে প্রকাশ্যে একাধিক বার চিনা প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের সমালোচনাও করেন তিনি।

লাদাখ সমস্যা সমাধানে কতটা অগ্রসর হবেন বাইডেন ?
পাশাপাশি লাদাখে চিন-ভারত উত্তেজনা ঠেকাতে ট্রাম্প মার্কিনি সহয়তার কথা বলেও তা বয়ে গেছে প্রতিশ্রুতির বন্যায়। এমনকী আন্তর্জাতিক মহলেও বিশেষ চাপ তৈরি করা যায়নি চিনের উপর। ওয়াকিবহাল মহলে ধারণা শুধু বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা নয়, কূটনৈতিক ক্ষেত্রেও চিনকে চাপে রাখ বাইডেন। যাতে ঘুরিয়ে লাভ হবে ভরতেরই।
হেরে গিয়েও জিততে মরিয়া ট্রাম্প, পেন্টাগনে গুরুত্বপূর্ণ পদে ভারতীয় বংশোদ্ভূত