হোয়াইট হাউজে বিদ্রোহের আঁচ! ট্রাম্পের একগুঁয়ে মনোভাব ঘিরে ক্রমেই বাড়ছে ধোঁয়াশা
মার্কিন নির্বাচনে জো বাইডেনের জয় মেনে নিতে এখনও অস্বীকার করছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর এই পরিস্থিতিতে এবার ট্রাম্পকে ঘিরে ক্রমেই আরও বাড়ছে ধোঁয়াশা। এধিন ফের টুইট করে মার্কিন গণমাধ্যমের নির্বাচনী পূর্বাভাসকে 'মিথ্যা' বলে আখ্যা দিয়েছেন ট্রাম্প। এরই মাঝে হোয়াইট হাউজে অভ্যুত্থানের গন্ধ পাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে আমেরিকার বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি খুবই টালমাটাল।

হোয়াইট হাউজকে ঘিরে বিদ্রোহের জল্পনা
হেরে গেলে যে খুব সহজে ট্রাম্প ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন না, তা আঁচ করেছিলেন অনেকেই। তবে সেই বাধাকে কাটিয়েই জো বাইডেন নিজের প্রশাসন সাজাতে শুরু করে দিয়েছেন। তবে এবার বাইডেন-হ্যারিস জুটির বিপক্ষে গিয়ে হোয়াইট হাউজের তরফে বিদ্রোহ করা হতে পারে জল্পনা বেড়েছে।

ফের ভোটে কারচুপির অভিযোগ
এদিকে এদিনও নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ট্রাম্প টুইট করেন, 'কেউ এটা রিপোর্ট করছে না যে পেনসিলভেনিয়া এবং মিশিগানে আমাদের অবসার্ভারকে ভোট গণনার প্রক্রিয়া দেখতে দেওয়া হয়নি। সেখানে কয়েক হাজার বেআইনি ভোট গণনা করা হয়েছে। আমি খুব সহজেই সেই দুই রাজ্যে জিতেছি। তাই আমি মার্কিন নির্বাচন জিতেছি।' ট্রাম্পের এহেন টুইটে আরও ঘনীভূত হচ্ছে বিদ্রোহের আশঙ্কা। যদিও ট্রাম্পের এই বার্তাকে টুইটার ফ্ল্যাগ করেছে।

বিদ্রোহের জল্পনা আরও উসকে দিয়ছেন ট্রাম্পের ভাইঝি
এই বিদ্রোহের জল্পনা আরও উসকে দিয়ছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভাইঝি মেরি। তিনি এদিন একাধিক টুইট করার মাধ্যমে এই সম্ভাব্য বিদ্রোহের পূর্বাভাস দেন। তিনি লেখেন, 'প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট জো বাইডেন এবং কমলা হ্যারিস বৈধভাবে এবং অনেক ব্যবধানে নির্বাচন জিতেছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যতই মিথ্যা প্রচার করুক না কেন, তা বদলাবে না। সবার চোখ খোলা রাখা উচিত। এটা একটা সম্ভাব্য বিদ্রোহের ইঙ্গিত।'

নির্বাচনের বৈধতা অস্বীকার সিংহভাগ রিপাবলিকানের!
রিপাবলিকান সমর্থকরা এই নির্বাচনের ফলাফল মেনে না নেওয়াতে তা মার্কিন গণতন্ত্রের জন্য খুবই ভয়ের বিষয় বলে উল্লেখ করেন মেরি। তিনি লেখেন, '২০০০ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১ বিলিয়ন ভোট পড়েছে। তার মধ্যে মাত্র ৩২টি ভুয়ো। তবে বর্তমানে ৭০ শতাংশ রিপাবলিকান মানেন না এই নির্বাচনের ফল। এই ক্ষেত্রে আমাদের অনেক কাজ করতে হবে।'

চাপের মুখে পেন্টাগনে নয়া নিয়োগ ট্রাম্পের
এদিকে নির্বাচনে হারতেই ট্রাম্প মার্কিন প্রতিরক্ষা সেক্রেটারি মার্ক এসপার সহ পেন্টাগনের একাধিক আধিকারিককে পদ থেকে সরিয়ে দেন। তাঁদের জায়গায় ট্রাম্প নিযুক্ত করেছেন তাঁর 'কাছের' বলে পরিচিত মানুষদের। এতেই আরও জল্পনা বেড়েছে। যে ট্রাম্প ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা ভাবছেন না। বরং নিজের অনুগতদের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসাচ্ছেন ভবিষ্যতের কথা ভেবে।
বিহারের সূর্যোদয়ে বাংলায় ঘনীভূত শঙ্কার কালো মেঘ, বিজেপি বিরোধিতায় দ্বিধাবিভক্ত বাম দলগুলি