আত্মনির্ভর ভারত ৩.০ : চাপে পড়া ২৬টি সেক্টরের জন্য বিশেষ ক্রেডিট গ্যারান্টির ঘোষণা
অর্থনৈতিক সংকোচের হাত থেকে অর্থনীতিকে উদ্ধারের জন্য একগুচ্ছ নতুন ব্যবস্থা ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। আজ এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, 'বেশ কয়েকটি সূচক দেখাচ্ছে, অর্থনীতি সুস্পষ্টভাবে পুনরুদ্ধার হচ্ছে। একটানা সংস্কারের ভিত্তিতে অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করে চলেছে সরকার।'

আগের অর্থনৈতিক প্যাকেজ লকডাউনের ধাক্কা সামলাতে ব্যর্থ হয়েছে
যখন করোনা ভাইরাসের জেরে লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিতে পুনরুদ্ধারের জন্য আরও উদ্যোগের আহ্বান জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা, ঠিক সেই সময়ই আজ সাংবাদিক বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। মে মাসেই সরকার আত্মনির্ভর ভারত প্যাকেজে ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক বরাদ্দ ঘোষণা করে। অনেক অর্থনীতিবিদ বলছেন, এই প্যাকেজ লকডাউনের ধাক্কা সামলাতে ব্যর্থ হয়েছে।

চাপে থাকা ২৬টি ক্ষেত্রের জন্য বিশেষ ক্রেডিট গ্যারান্টি সাপোর্ট
এই আবহেই নির্মলা সীতারমন জানান, ইমার্জেন্সি ক্রেডিট লিকুইডিটি গ্যারান্টি স্কিমের আওতায় ২.০৫ লক্ষ কোটি টাকা অনুমোদিত ৬১ লক্ষ জন ঋণ দাবিদারের জন্য। সেই সমস্ত ক্ষেত্রের জন্য ক্রেডিট গ্যারান্টি সাপোর্ট রয়েছে যারা অতিমারীতে বিপন্ন। কেভি কামাথ কমিটি এমন মোট ২৬টি এমন ক্ষেত্রে চিহ্নিত করা হয়েছে। এদের ৫০ থেকে ৫০০ কোটি পর্যন্ত ঋণ বকেয়া রয়েছে এই মুহূর্তে। এদের জন্যেই পাঁচ বছর সময়কালের একটি স্বস্তি দিতে এই স্কিম আনা হচ্ছে।

১.৪৬ হাজার কোটির ইনসেনটিভের ঘোষণা
এছাড়া উৎপাদন ক্ষেত্রে জোয়ার আনতে ১.৪৬ হাজার কোটির ইনসেনটিভ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয় এদিন। ৬ হাজার কোটির ইক্যুইটি ইনফিউশনের ঘোষণা করে সরকারের পক্ষ থেকে এদিন নির্মলা জানান, এর হাত ধরে ১ লক্ষ প্রজেক্ট তৈরি হবে দেশে। এছাড়া অসংগঠিত ক্ষেত্রে ১০ হাজার কোটি টাকার ফান্ড গঠনের ঘোষণাও করেন নির্মলা।

দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, 'করোনার মধ্যেও দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। জিএসটি আদায়ের পরিমাণ ১০ শতাংশ বেড়েছে। বাজারে চাহিদা আস্তে আস্তে বাড়ছে। সরকারের সংস্কারমুখী পদক্ষেপের কারণেই অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে। তৃতীয় ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হারও বাড়বে।'
জিডিপিতে বড়সড় ধস, ভারতীয় অর্থনীতিকে গ্রাস করছে মন্দা! আশঙ্কাবার্তা আরবিআই-এর