শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে তৃণমূলের, ভাঙন-জল্পনার মাঝে টোপ অধীরের
শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দূরত্ব বেড়েই চলেছে তৃণমূলের। নন্দীগ্রাম দিবসের পরই শুভেন্দুর তিন অনুগামীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। ফলে জটিলতা আরও বেড়েছে। বেড়েছে ভাঙন-জল্পনা। এরই মধ্যে অধীর চৌধুরী টোপ দিয়ে রাখলেন তৃণমূলের বিদ্রোহীদের। সোজাসাপ্টা জানিয়ে দিলেন সবার জন্য কংগ্রেসের দুয়ার খোলা।

তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহীদের ডাক কংগ্রেসের
অধীর চৌধুরী বলেন, তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হচ্ছেন যাঁরা তাঁদের সাহস ও সততাকে স্যালুট। তাঁরা তৃণমূলের দুর্নীতির সঙ্গে সহমত হতে পারছেন না বলেই বিদ্রোহী হচ্ছেন। তাঁরা যদি সম্মানের সঙ্গে রাজনীতি করতে চান, তাঁদের জন্য কংগ্রেসের দুয়ার খোলা, তাঁরা মনে করলে কংগ্রেসে আসতে পারেন।

শুভেন্দুই মমতাকে কুর্সিতে বসিয়েছেন, ভাইপো নয়
অধীর চৌধুরী এর আগেও শুভেন্দুর প্রশংসা করেছিলেন। শুভেন্দু অধিকারীকেই নন্দীগ্রাম আন্দোলনের মুখ বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি। সেইসঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছিলেন, শুভেন্দু অধিকারীর আন্দোলনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কুর্সিতে বসতে সাহায্য করেছে, ভাইপো নয়।

দল বাড়ানোর খেলায় নামলেন অধীর চৌধুরী
এবার তৃণমূলের এই কোন্দল কাজে লাগিয়ে দল বাড়ানোর খেলায় নামলেন অধীর চৌধুরী। শুধু বিজেপি নয়, শুভেন্দু-সহ তাঁর অনুগামীদের কংগ্রেসে ফেরার আহ্বান জানালেন। তিনি বলেন, কংগ্রেসই হল সঠিক মঞ্চ। যেখানে ধর্মনিরপেক্ষতা বজায় রেখে গণতন্ত্র রক্ষায় তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াই করা যাবে।

শুভেন্দুর অনুগামীদের নিরাপত্তারক্ষী সরিয়ে বার্তা
উল্লেখ্য, নন্দীগ্রাম দিবসে শুভেন্দু বেশ কিছু ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন। তৃণমূলকে উদ্দেশ্য করেই তিনি বলেন, নন্দীগ্রামন কারও ব্যক্তিগত আন্দোলন নয়, মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন ছিল এটা। তৃণমূলের পৃথক সভা নিয়েও তিনি কটাক্ষ করে, ভোটের আগে এলে, পরেও আসতে হয়। তারপর ভারতামাত জিন্দাবাদ বলে ভাষণ শেষ করেন। তারপরই শুভেন্দুর দুই অনুগামীর নিরাপত্তারক্ষী সরিয়ে বার্তা দেওয়া হয় প্রশাসনের তরফে

অধীরের দেওয়া বার্তা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ
এছাড়া মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা আরেক শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ মেশারফ হোসেনের নিরাপত্তারক্ষীও তুলে নেওয়া হয়েছে। ৮ নভেম্বর খড়গ্রামে শুভেন্দুর সভার আয়োজন করেছিলেন তিনি। তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকট হয়েছিল এই ঘটনায়। তারপর জেলা পরিষদের সভাধিপতির নিরাপত্তা কেড়ে নেওয়ার পর অধীরের দেওয়া বার্তা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
মমতার পায়ের তলার মাটি কেড়ে নিতে বিজেপির হাতে কোন অস্ত্র! '২১ শে ফোকাস রেখে অমিত-বার্তা