শুভেন্দুই শুধু নন, আরও ৩ মন্ত্রী গরহাজির মন্ত্রিসভার বৈঠকে! ২০২১-এর আগে জল্পনা
ফের ক্যাবিনেট বৈঠক। আর সেই বৈঠকে ফের অনুপস্থিত পরিবহণমন্ত্রী মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী(subhendu adhikari)। তবে এদিন নবান্নের (nabanna) ক্যাবিনেট বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন শুভেন্দুসহ- চারজন মন্ত্রী। যাঁদের দুজন তাঁদের না থাকার কারণ জানিয়েছেন। অন্যদিকে শুভেন্দু সহ দুজন তাদের কারণ জানাননি বলেই জানা গিয়েছে।

পর পর কয়েকটি ক্যাবিনেট বৈঠকে অনুপস্থিত শুভেন্দু
শুধু এদিনই নয়, আগেও পরপর কয়েকটি ক্যাবিনেট বৈঠকে যোগ দেননি রাজ্যের পরিবহণ, সেচ ও পরিবেশ দফতরের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই সংখ্যাটা ছিল তিন। গত কয়েকমাস ধরেই তাঁর সঙ্গে দলের দূরত্ব তৈরি হয়েছে। এরপর গত কয়েকদিনে এই দূরত্ব আরও বেড়েছে। অনেকেই বলছেন গুঞ্জন বেড়েছে ২৩ জুলাই তৃণমূলের নতুন রাজ্য কমিটি গঠনের পর থেকে।

এদিনের বৈঠকে যে চারজন মন্ত্রী আসেননি
এদিনের ক্যাবিনেট বৈঠকে যে চারজন মন্ত্রী যোগ দেননি, তাঁরা হলে শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, গৌতম দেব এবং রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। এর মধ্যে শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের অনুপস্থিতির কারণ জানাননি। অন্যদিকে গৌতম দেব করোনায় আক্রান্ত হয়ে শিলিগুড়ির কাছে মাটিগাড়ার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি। অন্যদিকে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, তাঁর না যাওয়ার ব্যাপারে শারীরিক অসুস্থতার কারণ উল্লেখ করেছেন।

জল্পনা শুরু হয়েছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে
শুভেন্দু অধিকারী দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ালেও, তিনি এখনও তৃণমূলেই আছেন। তিনি কিংবা দল এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানাননি। অন্যদিকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। সেই কারণে তাঁকে নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।

দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাজীব
মাস চারেক আগে হাওড়ায় দুর্নীতিতে শাস্তি নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে লড়াই নেত্রী করছেন, তাতে তিনিই সহকর্মী। ভবিষ্যতেও তিনি তা করে যাবেন। দুর্নীতি নিয়ে তিনি যে কথা বলেছিলেন তার থেকে তিনি সরছেন না বলেও জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন কেবল চুনোপুটিদের শাস্তি দিয়ে লাভ হবে না। দলের মধ্যেই অনেক রাঘববোয়াল আছেন, যাঁরা দুর্নীতিতে যুক্ত। তাঁদের শাস্তি দিয়ে দুর্নীতি দমন করার ডাক দিয়েছিলেন রাজীব।

ভিড় বাড়ছে শুভেন্দুর দিকে
এদিকে শুভেন্দু অধিকারীর দিকে যেন ভিড় ক্রমশই বাড়ছে। দিন কয়েক আগে তিনি বলেছিলেন রাজনীতি করতে তিনি সিঁড়ি ভেঙে উঠেছেন। তাঁর এই মতকে সমর্থন করেছিলেন কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূলব বিধায়ক মিহির গোস্বামী এবং বারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত। ১০ নভেম্বর নন্দীগ্রাম দিবসে গোকুলনগরের সভায় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ১৩ বছর পর মনে পড়ল নন্দীগ্রামের কথা। তাঁর সেই সভায় সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী ছাড়াও একাধিক বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে গত রবিবার খড়গ্রামে হওয়া স্মরণ সভায় তৃণমূল জেলা নেতৃত্বের তরফে কাউকে দেখা না গেলেও জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও সহকারী সভাধিপতি সহ বহু সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে ৪৫ জন ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য।
কর সন্ত্রাসবাদ থেকে ক্রমেই স্বচ্ছতার রাস্তায় এগিয়ে চলেছে ভারত, বার্তা মোদীর