দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার্থীদের জন্য বড় ঘোষণা! ভোটের আগে ১৬ হাজার শিক্ষকপদ পূরণে আশ্বাস মমতার
পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনের প্রায় ছয়মাস বাকি থাকলেও রাজ্য যেন ভোটমুখী। একদিকে বিরোধী বিজেপি বিহারে জয়ের পর স্লোগান তুলেছে এবার বাংলা পারলে সামলা। সেই পরিস্থিতিতে সাধারণের পাশে থাকতে একের পর এক ঘোষণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee)। এদিন তিনি হাজার হাজার শিক্ষক পদে নিয়োগের আশ্বাস দিয়েছেন।

এবার বাংলা পারলে সামলা
বিহারে বুথ ফের সমীক্ষা নিয়ে বিরোধী শিবির আশার আলো দেখেছিল। বিশেষ করে আশার আলো দেখেছিল এরাজ্যের শাসক তৃণমূল কংগ্রেস। দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছিলেন বিহারে যদি বিজেপি হারে তাহলে তার প্রভাব পড়বে এরাজ্যেও। যদিও তা হয়নি। আর বিহারে এনডিএ শিবিরের জয়ের পর বিজেপি এ রাজ্যে স্লোগান তুলেছে এবার বাংলা পারলে সামলা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই স্লোগান ছড়িয়ে দিয়ে বলা হয়েছে, গণতন্ত্রে সাধারণ মানুষই সবকিছু।

১৬ হাজার শিক্ষক পদ পূরণ ২ মাসে
পরিস্থিতির মোকাবিলায় তৎপর মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে জানান, ইতিমধ্যেই ২০ হাজার চাকুরিপ্রার্থী শিক্ষক নিয়োগের টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে থেকে ১৬ হাজার জনকে ২ মাসের মধ্যে নিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও আরও অনেকেই টেট পরীক্ষা দিতে চান। তাঁদের জন্য অফলাইনে পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত ২০১৭ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে টেট পরীক্ষার জন্য কোনও আবেদন গ্রহণ করা হয়নি। অন্যদিকে যাঁরা পাশ করেছেন, তাঁদের পরীক্ষা নেওয়ার কাজও আটকে রয়েছে করোনা পরিস্থিতির কারণে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শেষ করা হবে।

টেস্ট পরীক্ষা হবে না
এদিন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাবিনেট বৈঠকের পর ঘোষণা করেন, এবার টেস্ট পরীক্ষা নেওয়া হবে না। দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা না দিলেও সবাইকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য অ্যালাও করে দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত করোনা পরিস্থিতি ২০২১ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা কবে নেওয়া হবে না নিয়েও একটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

দূর হল দুশ্চিন্তা
প্রসঙ্গত উল্লেখ করা প্রয়োজন, ২০২০ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়ে গেলেও, করোনা লকডাউনের কারণে উচ্চমাধ্যমিকের একাধিক পরীক্ষা বাকি থেকে গিয়েছিল। পরে সেই বিষয়গুলিতে গড় নম্বর দিয়ে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছিল। এরপর ২০২১-এর পরীক্ষার্থীরাও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছিলেন স্কুল না খোলার কারণে। কী সিদ্ধান্ত নেবে শিক্ষা দফতর সেই অপেক্ষায় ছিলেন পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর তাদের টেস্ট নিয়ে দুশ্চিন্তা দূর হল।
নজরে একুশের ভোট, 'এবার বাংলায় আসছি', বিহার ভোটের সাফল্যের পর সদর্পে ঘোষণা ওয়েইসের