সীমান্তে রুখতে হবে সবধরনের চোরাচালান! বিএসএফকে নির্দেশ অমিত শাহের
সীমান্তে (border) চলা সব ধরনের চোরাচালান যত দ্রুত সম্ভব বন্ধ করতে হবে। বিএসএফকে (bsf) এমনটাই নির্দেশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের(amit Shah)। দেশের অর্থনীতিকে দুর্বল করে কিংবা নিরাপত্তার পক্ষে ক্ষতিকারক কার্যকলাপ বন্ধের জন্যও তিনি নির্দেশ দিয়েছেন।

গরু পাচার কাণ্ডে সক্রিয় সিবিআই
গরু পাচার নিয়ে জোরদার তদন্তে সিবিআই। কলকাতা, দিল্লি ছাড়াও রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় অভিযান চালিয়েছে সিবিআই। সিবিআই-এর নজরে থাকা জেলার মধ্যে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট, মালদহ ও মুর্শিদাবাদ। এই তিন জায়গাতেই অপরাধ সংগঠিত হয়। সূত্রের খবর অনুযায়ী প্রথমে বিএসএফ, কিংবা কাস্টমসের ধরা গরুগুলিকে কেনা হয়। তারপর সেগুলিকে পাঁচ-সাত গুণ বেশি দামে পাচাকর করা হয়।

গরু পাচার কাণ্ডে ধৃত এনামুল হককে ১৪ দিনের হোম আইসোলেশনে
এদিকে গরু পাচার কাণ্ডে দিল্লি থেকে ধৃত এনামুল হককে ১৪ দিনের হোম আইসোলেশনে আথাক অনুমতি দিয়েছে সিবিআই। তার নমুনা পরীক্ষার জন্য বেলেঘাটা আইডিতে পাঠানো হয়েছে। ২৪ নভেম্বর তাঁকে ফের হাজিরার জন্য তলব করা হয়েছে। দিন কয়েক আগে তাকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীর খোঁজ পায় সিবিআই। যদিও এনামুল দাবি করেছে, তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন। কেননা কেন্দ্রকে তিনি ট্যাক্স দেন।

কেন্দ্রীয় সংস্থার নিশানায় বিএসএফ আধিকারিক থেকে ব্যবসায়ী
এদিকে গরু পাচার কাণ্ডে তদন্ত করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নিশানায় বিএসএফ আধিকারিক থেকে ব্যবসায়ী অনেকেই। এনামুল হককে গ্রেফতারের পর এবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অন্যদের নাগাল পেতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

অমিত শাহ, বিএএসএফ বৈঠক
অমিত শাহ রাজ্যে এসেছিলেন ৪ নভেম্বর রাতে। পরের দিন সকালে তিনি বাঁকুড়া যান। এৎপর বাঁকুড়া থেকে ফিরে ৫ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে নিউটাউনের হোটেলে বৈঠক করেন বিএসএফ আধিকারিকদের সঙ্গে। সেখানে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করপেছিলেন বিএফএফের ডিজি রাকেশ আস্থানা এবং বিএসএফ-এর ইস্টার্ন কমান্ডের এডিজি পঙ্কজকুমার সিং। সূত্রের খবর অনুযায়ী তাঁদের মধ্যে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।য যার মধ্যে গরু পাচার ছাড়াও রয়েছে, ড্রাগ পাচার এবং মানুষ পাচারের মতো বিষয়।

বিএসএফকে নির্দেশ অমিত শাহের
সূত্রের খবর অনুযায়ী, সেই দিনই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিএসএফকে সীমান্তে যেকোনও রকমের চোরাচালান বন্ধের জন্য নির্দেশ দেন। স্থানীয় পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে এই কাজ করার কথা বলেছিলেন তিনি। ড্রাগ ও মানুষ পাচারের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও তিনি দেন।