হরিয়ানায় কৃষি আইন ইস্যুর ধাক্কায় জেরবার বিজেপি, উপনির্বাচনে পিছিয়ে অলিম্পিক মেডেল জয়ী
কৃষি আইন নিয়ে তোলপাড় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত। কেন্দ্রের এই আইনের বিরোধিতায় রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করেন পাঞ্জাব এবং হরিয়ানার কৃষকরা। এই পরিস্থিতিতে সবার মনে এই প্রশ্নটাই ছিল, কৃষি আইন ইস্যু ধামাচাপা দিয়ে হরিয়ানায় জিততে পারবে বিজেপি? সেই জন্যেই এই আসন জিততে বিজেপি ভরসা করেছিল অলিম্পিক মেডেল জয়ী যোগেশ্বর দত্তের উপর। তবে প্রাথমিক ভোট গণনার প্রবণতায় দেখা গিয়েছে যে যোগেশ্বর পিছিয়ে পড়েছেন।

২০১৯-এর বিধানসভা নির্বাচনে হেরেছিলেন যোগেশ্বর
বিজেপির টিকিটে হরিয়ানার বরোদা আসন থেকে ভোটের ময়দানে নামেন অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ পদক জয়ী কুস্তিগীর যোগেশ্বর দত্ত। এর আগে ২০১৯-এর বিধানসভা নির্বাচনেও এই আসন থেকে লড়াই করেছিলেন তিনি। তবে সেবার পরাজিত হয়েছিলেন যোগেশ্বর দত্ত। এবারও প্রাথমিক প্রবণতা থেকে মনে হচ্ছে তিনি এই আসনে জিততে পারবেন না।

প্রথম রাউন্ডের ভোট গণনা শেষে এগিয়ে কংগ্রেস
এদিন প্রথম রাউন্ডের ভোট গণনা শেষ হওয়ার পর দেখা যায় যে সোনেপত জেলার বরোদা আসনে এগিয়ে রয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী ইন্দুরাজ নারওয়াল। বিজেপির যোগেশ্বর দত্তের কুস্তিগির থেকে ১,০২১ ভোটে এগিয়ে যান তিনি। এই একটি আসনের উপর সরকারের স্থায়িত্ব নির্ভর না করলেও রাজনৈতিক ভাবে এই উপনির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বিজেপির জন্য কেন গুরুত্বপূর্ণ এই একটি আসন?
এখন প্রশ্ন, শেষ পর্যন্ত কৃষি আইন নিয়ে জর্জরিত হরিয়ানার এই উপনির্বাচনে বিজেপিকে কি জেতাতে পারবেন অলিম্পিক পদক জয়ী যোগেশ্বর? কারণ এই আসনে জিততে পারলে কৃষি আইন নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণের জবাব দিতে পারত বিজেপি। নয়ত বিজেপিকে পাল্টা আক্রমণে জেরবার করে দেবে বিরোধী দলগুলি।

কেন এই আশনে নির্বাচন?
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে প্রয়াত হন বরোদা কেন্দ্রের কংগ্রেস বিধায়ক শ্রীকৃষ্ণ হুডা। তাঁর মৃত্যুর পর আসনটি ফাঁকা হয়। সেই কারণেই ওই আসনে ভোট। ২০১২ সালের অলিম্পিক ব্রোঞ্জ পদক জয়ী এবং ২০১৪-র কমনওয়েলথ গেমসে স্বর্ণপদক জয়ী কুস্তিগীর যোগেশ্বর দত্ত ২০১৯ সালে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।
গুজরাতে অব্যাহত মোদী ঝড়, গান্ধী-রাজ্য থেকে কংগ্রেসকে নিশ্চিহ্ন করার পথে বিজেপি