১৩ বছর পর নন্দীগ্রামের কথা মনে পড়েছে, ভাল লাগছে! চেনা বামুনের পৈতে লাগে না, কটাক্ষ শুভেন্দুর
নন্দীগ্রামের (nandigram) গোকুলনগরে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে সভা করলেন শুভেন্দু অধিকারী(subhendu adhikari)। তাঁর বক্তব্যে কোথাও রাজ্যের শাসকদল কিংবা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নাম উঠে এল না। সরাসরি কারও নাম যেমন তিনি করেননি, নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়েও কোনও সিদ্ধান্তের কথা জানাননি তিনি।

এই কর্মসূচি নতুন নয়
এদিন নিজের বক্তব্যের শুরুতেই সভার সুর যেন বেঁধে দেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, এই সভা কিংবা কর্মসূচি নতুন কিছু নয়। গত ১৩ বছর ধরে ভূমি উচ্ছেদ কমিটির ব্যানারেই হয়ে আসছে সভা। শুরুতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটিতে কংগ্রেস এবং জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দের মতো দল থাকায় এই কমিটি কোনও রাজনৈতিক লড়াইয়ে অংশ নেবে না।

চেনা বামুনের পৈতে লাগে না
তিনি পূর্ব মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র। নন্দীগ্রামের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ২০০৩ সালে যুব নেতা থাকার সময় দলের এক নেতা রাজনৈতিক হামলায় আহত হয়েছিলেন। তাঁকে নিয়ে হাসপাতালে তিনিই ভর্তি করিয়েছিলে বলে স্মরণ করিয়ে দেন শুভেন্দু অধিকারী।

আন্দোলন শুভেন্দু অধিকারীর একার নয়
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, নন্দীগ্রাম আন্দোলনে ৪১ জন শহিদ হয়েছিলেন। এদিনের সভা থেক একের পর এক নাম তুলে ধরে স্মরণ করেন শুভেন্দু অধিকারী। বলেন শহিদের রক্ত, হবে নাকো ব্যর্থ। পাশাপাশি তিনি বলেন, এই আন্দোলন শুভেন্দু অধিকারীর একার আন্দোলন ছিল না।

১৩ বছর পর নন্দীগ্রামের কথা মনে পড়েছে
এদিন মঞ্চ থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ১৩ বছর পর নন্দীগ্রামের কথা মনে পড়েছে, ভাল লাগছে। এব্যাপারে তিনি কোনও দল কিংবা কোনও ব্যক্তির নাম উল্লেখ পর্যন্ত করেননি। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাঁর উদ্দেশ্য ছিল নিজের দলের এবং দলের নেত্রীর প্রতি। কেননা প্রতিবছর ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে সভা হলেও, এবারই তৃণমূল কংগ্রেস নিজের নামে নন্দীগ্রামে সভা করছে। যা নিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, নন্দীগ্রাম তৃণমূলে আন্দোলন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলন। তাই তৃণমূল সেখানেসভা করছে। এখানে আলাদা করে কারও কোনও অস্তিত্ব নেই বলেও দাবি করেছিলেন তিনি।

উপস্থিত একাধিক বিধায়ক, সাংসদ
আগে থেকেই জল্পনা তৈরি হয়েছিল এদিনের সভায় কারা কারা উপস্থিত থাকবেন। শুভেন্দু অধিকারী সভায় আসার পরেই জানান, সভার কাজ পরিচালনা করবেন মেঘনাদ পাল। এরপর তিনি একে একে খেজুড়ির বিধায়ক, তললুকের সাংসদের নাম উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, কোভিড মুক্ত হোক সারা বিশ্ব।

সাহায্য করেছিলেন যাঁরা
নন্দীগ্রাম আন্দোলন যে সময় হয়েছিল সেই সময় আজকের দিনের মতো মিডিয়ার দাপাদাপি ছিল না। কিন্তু তাও যতটুকু ছিল, তার মাধ্যমেই এখানকার খবর সারা বিশ্বের কাছে গিয়েছে বলে উল্লেখ করেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি বলেন, এই আন্দোলনের পাশে থাকার জন্য মহাশ্বেতা দেবী, শঙ্খ ঘোষ, শুভাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য, পল্লব কীর্তনীয়াদের কাছে তিনি কৃতজ্ঞ।
তৃণমূলের নন্দীগ্রাম দিবস পালন, হাজরাকাটায় সভা! টুইট বার্তা মমতার